তৃণমূল পিসি-ভাইপোর দল বলে প্রায়ই কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিরোধীদের। এরই মধ্যে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন টিএমসি এর হেভিওয়েট নেতা। এই সময় সুযোগ বুঝে ‘তৃণমূলে আর কেউ থাকবেনা’ বলে কটাক্ষ করতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের। তাদের বক্তব্য,’তৃণমূলে আর কেউই থাকবেনা। থাকবে কেবল পিসি আর তার ভাইপো।’ধীরে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে তৃণমূলের ভাঙনের জল্পনা। এর সাথেই সমালোচনার ঝড় চলছে রাজনৈতিক মহলে।
একপ্রকার দল থেকে বিচ্ছিন্ন ই হয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার সাথে দলের দূরত্ব বেশ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর সাথেই তৃনমূলের বহু নেতা-নেত্রীদের মনেই সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষের ঝড়। মুকুল রায়ের তৃণমূল ত্যাগের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল টিএমসি এর বিভাজন। ভাঙন সাথে সাথে না হলেও, অনেকটা ভেঙে গিয়েছে তৃণমূলের ভীত। ঠিক মনটাই হতে দেখা গিয়েছিল ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে। ভেঙে টুকরোতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। আর অন্যদিকে নিয়মিত ভাঙন উৎসব চলতো গেরুয়া শিবিরে। সেই ভাঙন রুখতেই তখন আনা হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরকে।
অনেকটাই ভাঙনরোধ সম্ভব করে তুলেছিলেন প্রশান্ত। কিন্তু তা যে হঠাৎ উলটে যাবে তা কখনও ভেবে উঠতে পারেনি তৃণমূল। নিজের দলের তলাতেই জমা হচ্ছিল কিশোরকে নিয়ে ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভই আজ ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে চলেছে।
আর এই ভাঙনের মধ্যে যিনি সবথেকে বেশি চর্চাতে আছেন তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাকে তৃণমূলের অন্যতম জনপ্রিয় নেতাও বলা চলে। তবে তিনি একা নন। বিদ্রোহীর তালিকাতে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, মিহির গোস্বামী, শিলভদ্র দত্ত, কৃষ্ণপদ সাঁতরা, উদয়ন গুহের মতো আরও বহু নেতা। এছাড়া মুকুল গিয়ে অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে তৃণমূল দলের। ঠিক ততটাই ক্ষতি হবে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে। তিনি ছাড়লে ক্ষয় পরিণত হবে ধসে। এইবার দেখার বিষয় সেই ধস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আটকাতে পারেন নাকি।