নিউজরাজ্য

শিশুপাঠ্যে বর্ণবিদ্বেষের পাঠ, সাসপেন্ড স্কুলের দুই শিক্ষিকা

Advertisement

প্রাক প্রাথমিকের ইংরেজি বইয়ে ‘ইউ’ অক্ষরের ব্যবহারিক প্রয়োগ বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘আগলি’ শব্দটি। আর এই ‘আগলি’ শব্দের অর্থ ‘কুৎসিত’ লিখে তার পাশে দেওয়া রয়েছে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ছবি। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকের এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ। শিশুপাঠ্যে বর্ণবিদ্বেষের বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সংশ্লিষ্ট স্কুল ও বইয়ের প্রকাশকের বিরুদ্ধে। তখনই বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এবার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ দুই জনকে সাসপেন্ড করল শিক্ষা দপ্তর।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই বইটি সরকার ছাপেনি। প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমোদনও নেই বইটির। স্কুলের নিজস্ব উদ্যোগে এটি পড়ানো হচ্ছিল। শিক্ষামন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘বাইরের কোন বই এইভাবে সরকারি স্কুলে পড়ানো যাবে না বলে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও এই ঘটনা ঘটায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাসপেন্ড করা হয়েছে স্কুলের দুই শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক ও বর্ণালি দাসকে।’ শ্রাবণী দেবী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও বর্ণালি দেবী সহ শিক্ষিকা বলে জানা গেছে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই স্কুলটিতে প্রাক প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়।

তবে, শিক্ষিকাদের সাসপেন্ড করার বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোন নির্দেশিকা জেলা শিক্ষা সংসদে এসে পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে। শিক্ষিকাদের সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) স্বপনকুমার দত্ত।

Related Articles

Back to top button