রাজ্যের মন্দির খোলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। চিঠি দেওয়ার পরেই বিতর্ক জড়ালেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল লেখেন, “আপনি বরবারই হিন্দুত্বের প্রবল সমর্থক। শ্রীরামের প্রতি প্রকাশ্যে আপনি আপনার ভক্তি প্রকাশ করেছেন।
আপনি কি কোনও দৈব আদেশ পেয়ে বারবার মন্দির খোলার বিষয়টি পিছিয়ে দিচ্ছেন? নাকি, হঠাত্ সেকুলার হয়ে গেলেন?” উদ্ধব ঠাকরে লিখেছেন, “আপনার কাছ থেকে হিন্দুত্বের কোনও সার্টিফিকেট চাই না”। করোনা নিয়ে প্রতিদিন নানা গবেষণা করা হচ্ছে। বলা হয়েছে যে ভারতে ১০০টি নিশ্চিত করোনার মধ্যে মৃত্যুর হার অতি নগণ্য, ভারতে মৃত্যুর হার মাত্র ১.৫ শতাংশ। সেই তুলনায় আমেরিকায় অবস্থা খুবই খারাপ কেন কি ওখানে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার হার।
এর মাঝেই মন্দির খোলা নিয়ে বেশ ঝামেলা বাধে, এদিন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল আরও লিখেছেন, “অদ্ভূত ব্যাপার, রাজ্য সরকার বার-রেস্টুরেন্ট খুলে দিয়েছে কিন্তু দেবদেবীদের তালাবন্ধই রেখে দিয়েছে। কোনও যুক্তিতে! দিল্লিতে অনেক আগেই ধর্মীয় স্থান খুলে গিয়েছে। সেখানে তো করোনা সংক্রমণ বাড়েনি!” দেখা গিয়েছে যে সব দেশে বয়স্ক মানুষদের সংখ্যা বেশি তাঁরা মধুমেহ, হার্টের অসুখ থাকায় অতি দ্রুত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আবার ভারতে অল্পবয়সীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেই আশঙ্কা অনেকটাই কম। প্রথম স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,০৬, ০১৮। সবথেকে বেশি করোনা ছড়িয়েছে দিল্লিতে। এক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে ৮,৬৭,৪৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।