কৃষি বিলের প্রতিবাদে ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছিল দেশের অধিকাংশ কৃষক সংগঠন এবার সেই তালিকাউ জুড়ে গেছে কেন্দ্রের বেসরকারিকরণের বিষয়। এই নিয়মের বিরোধে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে ডান বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি। কৃষিবিলের প্রতিবাদে কৃষকরা শুক্রবার সকালে দিল্লি-অমৃতসর হাইওয়ে অবরোধ করেন। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কেউই এই বিলের পক্ষে ছিলো না। কিছু দিন ধরেই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষকরা কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।
আগের সপ্তাহেই কংগ্রেসের কর্মীরা ইন্ডিয়া গেটের সামনে একটি ট্রাক্টরে আগুন লাগিয়ে দেন। কৃষি বিলর বিরোধিতার জন্য ওই দিন সকালে কংগ্রেস কর্মীদের একটি দল ট্রাক্টরে চেপে ইন্ডিয়া গেটের সামনে আসে। আর সেখানেই পরিস্থিতি চরমে ওঠে। তার আগেই কৃষি বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, যার ফলে আইনে পরিণত হয়েছে ওই তিনটি বিল।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে “কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন” এবং “কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চু্ক্তি” সংক্রান্ত বিল। কিন্তু কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে ঝামেলা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গড়ায় যে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের কাছ থেকে মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি চরমে ওঠে।
আর তার প্রতিবাদেই আগামী ২৬ নভেম্বর ভারত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে দশটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। আয়কর আওতার বাইরে থাকা পরিবার প্রতি মাসে ৭,৫০০টাকা ও মাথাপিছু ১০ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়ার দাবি, রেগা প্রকল্পে ২০০ দিনের কাজ-সহ ৫ টি দাবি তুলে ধরা হয়েছে সূত্রের খবর।