কাবু হবে করোনা স্ট্রেইন, বিজ্ঞানীরা তৈরি করছেন করোনা ভাইরাসের ‘সুপার ভ্যাকসিন’
আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে
আগামী পৃথিবীর জন্য করোনাভাইরাস এর জন্য সমস্যায় না পড়ে তার জন্য বিজ্ঞানীরা তৈরি করছেন করোনাভাইরাস এর সুপার ভ্যাকসিন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন করোনা যেকোনো মিউটেশনের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন কাজ করবে এবং যেকোনো মিউটেশন প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখবে এই ভ্যাকসিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনা এই নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করার কাজে ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ইতিমধ্যেই এই টিকা ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে এবং ট্রায়াল’ সম্পূর্ণরূপে সফল। এখন যে করণা মিউট্যান্ট ভাইরাস সবথেকে বেশি চিন্তা যাচ্ছে সেটা হল দক্ষিণ আফ্রিকার একটি মিউট্যান্ট। সেই মিউট্যান্ট এর ওপর এই নতুন ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকরী বলে জানা গেছে। তবে এটি হলো করোনাভাইরাস এর সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যাকসিন।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ভবিষ্যতে যদি করোনাভাইরাস এর কোন আরও শক্তিশালী ভেরিয়েন্ট সামনে আসে তখন এই ভ্যাকসিন কাজে লাগবে এবং সেই স্ট্রেনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। তবে এখনই এই ভ্যাকসিন এর ব্যাপারে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়নি। ইঁদুরের উপরে ট্রায়াল’ সফল হলেও আপাতত শুধুমাত্র একটি ভেরিয়েন্ট এর উপরেই ট্রায়াল’ হয়েছে। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য অনুযায়ী যদি চলা হয়, তাহলে এই ভ্যাকসিন টা কিন্তু যেকোনো ভেরিয়েন্ট এর উপরে কার্যকরী হবে। তাই, নর্থ কারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে টি কাকে দ্বিতীয় প্রজন্মের টিকা বলছে, যাতে আগামী প্রজন্মকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই টিকা সাহায্য করতে পারে।
তাহলে মানুষের উপর ট্রায়াল’ কবে হবে? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যদি সঠিকভাবে গবেষণায় চলে এবং ইঁদুরের উপর আরো কয়েকটি ভেরিয়েন্ট এর বিরুদ্ধে ট্রায়াল’ সফল হয় তবেই মানুষের উপরে ট্রায়াল’ শুরু হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যে মানুষের উপরে প্রায় শুরু করতে পারবেন তারা। ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে এই ভ্যাকসিন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নাল সায়েন্স – জার্নালে এই ভ্যাকসিনের ব্যাপারে অনেক কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই মানুষের মনে নতুন করে আশা যোগাচ্ছে।