উত্তরপ্রদেশ: ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মেলেনি ধর্ষণের উল্লেখ। আর এবার পুলিশের বয়ানে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কথা হচ্ছে হাথরস কান্ড নিয়ে। ইতিমধ্যেই যে ঘটনায় সোচ্চার গোটা দেশ। আর এরই মধ্যে নির্যাতিতা তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গলায় ফাঁসের দাগ, শ্বাসরোধ করে খুন এই দুটি পয়েন্ট কার্যত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে উঠে এসেছে। কিন্তু চিকিৎসকরা কোথাও উল্লেখ করেননি যে, মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছিল। এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর কার্যত বিস্ময় ছড়িয়ে পড়েছে সকলের মধ্যে। আর এরপর উত্তরপ্রদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নির্যাতিতার ধর্ষণ হয়নি।
এডিজি ল অ্যন্ড অর্ডার প্রশান্ত কুমার এ বিষয়ে জানিয়েছেন,’ নির্যাতিতার শরীরে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ নেই। তবে হাথরস ঘটনায় কে বা কারা নির্যাতিতাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। অকারণে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক মোহর লাগানো হচ্ছে। অকারণে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে যারা উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরী করার চেষ্টা করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এমন বলে কার্যত হুমকি দিয়ে রাখলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দলিত ছাত্রী মাঠে কাজ করার সময় তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে টেনে নিয়ে গিয়ে অপহরণ করা হয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কিন্তু কোথাও ধর্ষণের কোনও উল্লেখ নেই। এমনকি যৌনাঙ্গে কোনও ক্ষতের কথাও উল্লেখ হয়নি তদন্তের রিপোর্টে। যদিও FSL-এর রিপোর্ট আসা এখনও বাকি।
তবে সেই রিপোর্টেও কি ধর্ষণের কথা উল্লেখ থাকবে? যদি কেউ প্রোরচনা দিয়ে থাকে, তাহলে সেই রিপোর্টও তো বিকৃত করা হতে পারে, এমনটাই বলছে নেটিজেনরা। ময়নাতদন্টের রিপোর্ট আসার পর সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়ে উঠেছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন নেটিজেনরা।