বলিউড অভিনেত্রী উরফী জাভেদ কোনো না কোনোভাবে শিরোনামে থাকার কোনো সুযোগ হাতছাড়া করেন না। তার অদ্ভুত ফ্যাশন এবং অস্বাভাবিক পোশাক ছাড়াও, এখন আরও একটি কারণে উরফী জাভেদ সোশ্যাল মিডিয়ায় শিরোনাম অর্জন করতে শুরু করেছে। সম্প্রতি তাকে দেখা গিয়েছে এক মাতাল অবস্থায় একটি পার্টি করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসতে। ইদানীং, উরফির মাতাল হওয়ার এই ভিডিওগুলি ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায়। অভিনেত্রীর এই অদ্ভুত অভ্যাসের কারণে তিনি এখন সব জায়গায় ট্রেলার শিকার হচ্ছেন।
ভিডিওতে, উরফি জাভেদকে তার বন্ধু এবং বোনের সাথে মুম্বাইয়ের একটি পাব থেকে হাঁটতে দেখা যায়। তিনি আউটিংয়ের জন্য একটি হলুদ মিনি ড্রেস পরেন এবং একটি অগোছালো খোঁপায় তার চুল বেঁধেছিলেন। তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে আসার সাথে সাথেই, পাপারাজ্জিরা তাকে ফটোর জন্য তাড়া করে। এছাড়াও, ভক্তরা তার সাথে সেলফির জন্য ভিড় করে। কিন্তু তিনি এতটাই খারাপ অবস্থায় ছিলেন যে তিনি রীতিমতো হাঁটতে পারছিলেন না। উরফিকে হাঁটতেও কষ্ট করতে দেখা যায় এবং তার বোন তার হাতটাকে শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন।
এই মাতাল হয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসার ঘটনার পরেই আরো একটা ঘটনা ঘটে তার সাথে। মঙ্গলবার রাতে, তিনি একটি রেস্তোরাঁ থেকে মাতাল অবস্থায় বেরিয়ে আসার পর তাকে তার বন্ধুরা তাকে ভিড়ের মধ্য দিয়ে তার গাড়িতে পৌঁছাতে সাহায্য করছিলেন। সেই সময় তিনি একেবারেই মাতাল অবস্থায় ছিলেন এবং সেই কারণে তিনি একেবারেই স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারছিলেন না। তখনই কিছু লোক তাকে ঘিরে ধরে টাকা চাইতে শুরু করে। অভিনেত্রী তাদেরকে গাড়িতে পৌঁছালে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। যাইহোক, যখন তিনি গাড়িতে বসে টাকা বের করার চেষ্টা করেন, তখন একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার হাত থেকে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করার চেষ্টা করেন কয়েকজন। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে, উরফির বন্ধুরা তাকে নিয়ে দ্রুত গাড়িতে করে বেরিয়ে যান।
অভিনেত্রী উরফী জাবেদ যদিও এই ঘটনা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই তার নিরাপত্তার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অন্যরা তাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য সমালোচনা করেছে। মাতাল হওয়ার ঘটনা নিয়েও একেবারেই কোনো বক্তব্য রাখেননি তিনি। বরং তিনি বলেন, তিনি একেবারেই মাতাল ছিলেন না। তিনি হাঁটতে পারছিলেন না কারণ তার পায়ে নাকি চোট লেগেছিল। যদিও এই দাবি নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর একজন লিখেছেন, ‘আরো করো এরকম কাজ’, আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনি মনে হয়ে সত্যিই বেশি খেয়ে ফেলেছিলেন।’ এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা আশা করি আপনার মস্তিষ্ক ভালো আছে’, একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যথারীতি ভাইরাল হওয়ার জন্য আরেকটি স্টান্ট’।