গাঁজার এক টানেই কমবে মানসিক রোগ থেকে অবসাদ, সমীক্ষায় উঠে এলো নতুন তথ্য
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ঘুমের সমস্যা, মানসিক রোগ যেমন অ্যাংজাইটি, অবসাদ, এসব কাটতে পারে গাঁজা। কি বিশ্বাস হচ্ছে না তাই তো? ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া দিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই চমকপ্রদ ঘটনা।
গাঁজা বৈধ করে দেওয়ার বিষয়টিকেও অনেক দেশে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। পৃথিবীর এরকম অনেক দেশ আছে যেখানে গাঁজা নিষিদ্ধ নয়। গাঁজা ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে সরকার পক্ষ। ২০১৩ সালে এই দক্ষিণ আমেরিকার উরুগুয়েতে ১৮ বছরের মানুষদের গাঁজা ব্যবহারে সম্পূর্ণ অনুমতি দেয়।
বাড়িতে গাছ লাগানোর পাশাপাশি, এখানে স্থানীয় ওষুধের দোকানে গাঁজা বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়াও আমেরিকার ১১টি প্রদেশ যেমন ক্যালিফোর্নিয়া, আলাস্কা, ইলিনয়েস, মাইন, কলোরাডো, ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া, ম্যাসাচুসেটস, নাভেদা, ওরিগাঁও, ভেরমন্ট এই সব জায়গায় গাঁজা বিক্রি ও রাখার আইন ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু তাই বলে একেবারে নিষিদ্ধ নয়। এমনকি ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধান আদালত গাঁজার ব্যবহার অনুমতি দেয়।
এখানকার মানুষ এখন ব্যক্তিগত ভাবে গাঁজা ব্যবহার করতে পারেন। ২০১৮ সালে কানাডা সরকার গাঁজা ব্যবহারের অনুমতি দেয়, তখন থেকে এখানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাঁজা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।এই সমীক্ষাটি ৫৬৮ জন রোগীর উপর করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ, যাঁরা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা গাঁজা ব্যবহার করে অনেক সুস্থ আছেন। এমনকি ৬১ শতাংশ রোগী, যাঁরা গাঁজা ব্যবহার করে সুস্থ আছেন, তাঁদের বয়স ৬০–এর উপরে। অনেকেই এটিকে লোশন হিসাবে ব্যবহার করেন, সিগারেটের মতো টেনে খাওয়ার বদলে।