আজকে থেকে ১৮ বছরের বেশি সকলের বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশন শুরু হওয়ার কথা, কিন্তু কতটা তৈরি বাংলা? প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের চাপে পড়ে কিছুদিন আগেই ঘোষণা করে দেন, এবারে কেন্দ্রীয় সরকার সকলকে ফ্রী ভ্যাকসিন দেবে এবং ১৮ বছরের ঊর্ধের সকলের ফ্রী ভ্যাকসিনেশন শুরু হবে ২১ জুন থেকে। কিন্তু সেই দিক থেকে দেখতে গেলে, বাঙলাতেই ভ্যাকসিন বাড়ন্ত।
জানা যাচ্ছে, বাংলার ভাড়ারে একেবারেই ভ্যাকসিনের স্টক নেই। তাই এই মুহূর্তে শুধুমাত্র জরুরি গ্রুপের মানুষদের জন্য ভ্যাকসিনেশন শুরু করছে রাজ্য সরকার। ভ্যাকসিনেশন শুরু হচ্ছে কিন্তু নেই ভ্যাকসিন, অদ্ভুত এই পরিস্থিতিতে তাই এই ফ্রী ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের তরফে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, এবারে শুধু কয়েকটি বিশেষ ক্যাটাগরির মানুষ পাবেন এই ভ্যাকসিন। এদের মধ্যে আছেন – প্রবীণ নাগরিক, আর যাদের কো মর্বিডিটি আছে তারা। কিন্তু বাকিদের ভ্যাকসিনেশন আপাতত স্থগিত। দিন কয়েক আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন ২১ জুন থেকে সমস্ত মানুষকে ফ্রিতে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৮ বছরের উর্ধ্বে কোন মানুষকে ভ্যাকসিন কেনার জন্য টাকা দিতে হবে না। কিন্তু এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনের সাপ্লাই না থাকায় জানা যাচ্ছে না কবে থেকে আবার ভ্যাক্সিনেশন চালু হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী বহু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বারংবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ভ্যাক্সিনেশন চালু করার আর্জি জানিয়ে ছিলেন। কার্যত সুপ্রিমকোর্টের চাপে পড়ে ভ্যাকসিন নীতি বদলে সকলকে ফ্রি ভ্যাক্সিন এর ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জানানো হয়েছিল ভ্যাকসিনের দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র কিন্তু ভ্যাকসিনের বন্টনের দায়িত্ব থাকবে রাজ্যের উপরে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাংলাতে ভ্যাকসিন একেবারে বাড়ন্ত। কিভাবে হবে প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাকসিনেশন, চিন্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।