Vastu Tips: ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে রাতে ঘুমোবার আগে করুন এই কাজ গুলো, কখনও অর্থের অভাব হবে না
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে জীবন তখনই সুখের হয় যখন আমরা সকল গ্রহ নক্ষত্র মেনে দিনের কাজ করি। এবং বাস্তু শাস্ত্র মতে গৃহের সকল দিক হিসেবে ঘর ও আসবাবপত্র রাখা দরকার। পানীয় জলের কল, মন্দির ঠিক স্থানে হলে গৃহে শুভ শক্তি বিরাজ করে ও দেবতার আশীর্বাদ থাকে। এর ফলে আমাদের ভাগ্য আমাদের সাহায্য করে কোনো কাজে সফলতা পেতে। তাই যদি আপনার কিছু কাজে বাঁধা পড়ছে তাহলে এই বিজ্ঞাপনে জানুন এর প্রতিকার।
আমাদের শরীরের জন্যে রাতের ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে রাতে ঘুমানোর আগের সময়টাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও শুভ। আপনি রোজ ঘুমানোর আগে যদি বিশেষ কিছু কাজ করেন, তাহলে খুব উপকার পাবেন জীবনে। ভালো ঘুম হলে পরের দিনটা চমৎকার মনে হয়। এর পাশাপাশি এই কাজগুলিকেও বাস্তুশাস্ত্রে খুব শুভ বলে মনে করা হয় এবং দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করেন।
আপনি রাতে ঘুমানোর আগে এই কাজগুলো করুন ও নিজের ভাগ্য ফিরে যেতে দেখুন:
১) ঘুমানোর আগে হাত, পা ও মুখ ধুয়ে নিন। এর ফলে খারাপ স্বপ্ন দেখতে হয় না।
২) আপনি যে বিছানায় ঘুমান তা পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। চাদর, বালিশ, কম্বল ইত্যাদি যেন পরিষ্কার থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। ভাঙা বা খারাপ অবস্থায় থাকা বিছানায় কখনই ঘুমাবেন না।
৩) ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে আপনার শোবার ঘরে কর্পূর জ্বালিয়ে দিন। এর কারণে ঘরে ইতিবাচকতা বিরাজ করে এবং জীবনসঙ্গীর সাথে সম্পর্ক ভালো হয়।
৪) সুবার ঘরে মাথার দিকে ময়ূরের পালক থাকলে ভাগ্য ঘুরবে, জীবন হয় সুখময়। জীবন ও জীবিকার জন্যে শুভ এই ময়ূরের পালক কারণ এটি কৃষ্ণের প্রিয় তাই বিষ্ণু ও লক্ষী দেবীর আশীর্বাদ বজায় থাকবে আপনার ওপর।
৫) ঘুমানোর আগে আপনার প্রধান দেবতাকে স্মরণ করুন। এতে করে ভালো ঘুম হয় এবং দেব-দেবীর আশীর্বাদ সবসময় আপনার ওপর থাকে।
৬) রাতে পানীয় জলের জায়গার কাছে একটি বাতি জ্বালিয়ে রাখুন। তবে দেখবেন আশেপাশে যেন কোনো পর্দা ইত্যাদি না থাকে, যাতে দুর্ঘটনার কোনো সম্ভাবনা না থাকে। পানীয় জলের কাছে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে মা লক্ষ্মী বিশেষ আশীর্বাদ করেন।
৭) কখনো আপনি মুখ্য দরজার দিকে পা রেখে ঘুমাবেন না।
৮) সবসময় রান্নাঘর ঠিকমতো পরিষ্কার করে ঘুমান। রান্নাঘরে কখনই নোংরা বাসন রাখবেন না।
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা জরুরী যে ভারত বার্তা যে কোনো ধরনের বিশ্বাস, তথ্যকে সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।