প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি কর্মীকে অশালীন গালিগালাজ ফিরহাদের, ঝড়ের গতিতে ভিডিও ভাইরাল
কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রে ফিরহাদ হাকিম তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন জোরকদমে চলছে। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে পাঁচ দফা নির্বাচন এবং বাকি রয়েছে আরও তিন দফা নির্বাচন। শেষ কয়েকটি আসনের জন্য তিন দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল ও ২৯ এপ্রিলে। তবে এই নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল পূর্ণ উদ্যমে ভোট প্রচার করছে। বিধানসভা নির্বাচন যুদ্ধে কোন রাজনৈতিক দল অন্য রাজনৈতিক দলকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে চায় না। আগামী ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন যার মধ্যে অন্যতম হলো তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা ববি হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে একুশে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছেন। সম্প্রতি গতকাল তিনি প্রচারে বেরিয়ে এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর অশালীন মন্তব্য করেন। তার এই ভিডিও ঝড়ের গতিতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। একজন প্রার্থীর প্রচারে বেরিয়ে এমন ব্যবহার নিন্দার ঝড় তুলেছে রাজনৈতিক মহলে। ভিডিওটি ঘিরে গতকাল রাত থেকেই তোলপাড় গোটা বঙ্গ রাজনীতি। আর ফিরহাদ হাকিমের বিজেপি কর্মীর দিকে কুরুচিকর মন্তব্য পুরোপুরি ভিডিওতে স্পষ্ট শোনা গিয়েছে। যদিওবা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ভারত বার্তা টিম।
TMC Leader and EX Mayor of Kolkata Firhad Hakim.
Listen last 24 second, Ye Election ho jaane do "Suwar ka bcha CISF" ke against action lenge. He is same Leader who describes Kolkata port area as Mini Pakistan pic.twitter.com/jGFfu66IM4— Tajinder Bagga (Modi Ka Parivar) (@TajinderBagga) April 19, 2021
গতকালের ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “তৃণমূল হারবে বুঝতে পেরে ভয়ের রাজনীতি করে চলেছে। ওরা বুঝতে পেরেছে মানুষ তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে। জঙ্গলমহল থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ অব্দি সব জায়গাতেই পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। তাই ওদের নেতারা প্রচারে নামতে ভয় পাচ্ছে।” এছাড়াও তিনি আরো বলেছেন, “টিএমসির এখন গরু হারিয়ে গিয়েছে। যেমন চাষিরা গরু হারালে টাল মাল খায় তেমনটি মুখ্যমন্ত্রী আর তার নেতা-মন্ত্রীরা খাচ্ছে। ওদের হাতের বাইরে সবকিছু চলে যাওয়ায় হতাশাজনক কথাবার্তা বলছে। শুধু সংখ্যালঘুদের গরম করার জন্যে বলছেন বিজেপিকে মারো, বিজেপিকে কাটো। কিন্তু উনাদের সাথে আর কেউ নেই।”