বিদ্যা বালন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির হাত ধরেই নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। ১৯৯৫ সাল থেকেই এই অভিনয় দুনিয়ার সদস্য বিদ্যা বালন। ঐ সালেই ‘হাম পাঁচ’ ছবির সূত্র ধরেই নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। তবে পরে পড়াশোনায় মনমাফিক ফল করতে না পারায় অভিনেত্রী হবেন বলে ঠিক করে নেন তিনি। ২০০৩’এ ‘ভালো থেকো’ ছবির হাত ধরে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ ঘটে তার। এরপর ২০০৫’এ জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘পরিণীতা’য় অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। আর তারপর বলাই বাহুল্য আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে গিয়েছেন নিজের অগণিত ভক্তদের। তবে বর্তমানে খুব বেছে বেছে ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এখন পর্দায় একটু ছক ভাঙা চরিত্রেই দেখা মেলে তার।
সম্প্রতি অভিনেত্রী নিজের কাজের সূত্র ধরে নয়, স্বামী সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের ব্যক্তিগত জীবনের সূত্র ধরেই চর্চার আলোয় রয়েছেন। তিনি পেশায় একজন বড় চলচ্চিত্র প্রযোজক। ২০১২ সালে অভিনেত্রী সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। উল্লেখ্য, বিদ্যা বালন সিদ্ধার্থের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগেও দুবার বিবাহ হয়েছে তার। তার এই তিনটি বিয়ে নিয়েই মিডিয়ার পাতায় থেকে থেকেই চর্চা চলতে থাকে। সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গই পুনরায় চর্চার আলোয়। আবারও তার তিনটি বিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে মিডিয়ামহলে।
প্রথমে বাল্যবয়সের এক বন্ধুর সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সেই সম্পর্ক বিবাহ পর্যন্ত গিয়েছিল। বিয়ের পর সেই জীবনে সুখী হতে না পারায় একে অপরের থেকে বিচ্ছেদ নিয়ে নেন তারা। এরপর টেলিভিশন প্রযোজক কবিতার সাথে বিবাহ হয় তার। তবে সেই সম্পর্কও খুব বেশিদিন টেকেনি। এরপর কবিতার সাথেও বিচ্ছেদ ঘটে সিদ্ধার্থের। এরপরই বিদ্যা বালনের সাথে বিবাহ হয় এই চলচ্চিত্র প্রযোজকের। সেইসময় মিডিয়ায় কম চর্চা হয়নি এই প্রসঙ্গ নিয়ে। তবে সেই থেকে এখনো পর্যন্ত একে অপরের সাথে নির্ঝঞ্ঝাট সংসার যাপন করছেন তারা। অবশ্য নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগত রাখতেই পছন্দ করেন তারা। উল্লেখ্য, প্রায়ই একাধিক অনুষ্ঠানে জোড়ে দেখা মেলে তাদের।