তড়িৎ ঘোষ : ভারতীয় পিচে টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে স্পিন সহায়ক টার্নিং পিচ বানিয়ে স্পিনারদের উপর নির্ভর করতে হতো ভারতীয় দলকে। এখন সেই ধারার পরিবর্তন ঘটেছে। শুধুমাত্র স্পিনারদের উপর নির্ভর করতে হয় না, পেস অর্থাৎ জোরে বোলারাও টেস্ট ম্যাচ জেতাতে দারুনভাবে অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ২০ উইকেটের মধ্যে ১৪ টি নিয়েছেন পেসাররা।
জসপ্রিত বুমরাহ এর টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর থেকেই ভারতের বোলিং লাইন আপে আমূল পরিবর্তন এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড, প্রত্যেক দেশে এক ইনিংসে ৫ উইকেট দখল করে রেকর্ড করেন বুমরাহ। সদ্যসমাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও ইশান্ত, শামি ও উমেশদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও চোটের জন্য বুমরাহ ও ভুবনেশ্বর কুমারের মতো পেসার ভারতীয় দলের বাইরে রয়েছেন। এই মুহূর্তে ভারতীয় বোলিং অ্যাটাক বিশ্বের অন্যতম বলে মনে করেন অনেকেই।
বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা ও ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য মহম্মদ শামির প্রথম ইনিংসের থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের বোলিং পরিসংখ্যান অত্যন্ত ভালো হওয়ায় জন্য তাকে “দ্বিতীয় ইনিংসের মাস্টার” বলা হয়। গত দুই বছরের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের মধ্যে সেরা মহম্মদ শামি। ২০ ইনিংসে তার সংগ্রহ ৫১ উইকেট। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ৩২.২ এবং গড় ১৭ অর্থাৎ প্রত্যেক ৩২ বলের মাথায় ১৭ রান দিয়ে তিনি একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।