ভারতে এখন যে শুধুমাত্র ফ্যামিলি কনটেন্ট চলবে, অন্য কোনরকম কোনো কনটেন্ট বানানো হবেনা সেরকম সময়টা নেই। এখন বিদেশের সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতেও বেড়েছে অ্যাডাল্ট সিনেমার চলন। সরাসরি কোনো যৌনদৃশ্য প্রদর্শিত না হলেও এই সমস্ত সিরিজে সাহসী দৃশ্যের কমতি থাকেনা। অল্ট বালাজির ‘গন্দি বাত’ হোক অথবা ‘ট্রিপল এক্স’, অথবা উল্লু, নুইফ্লিক্সের একাধিক সিরিজ, সবেতেই যেনো থাকে সাহসী দৃশ্যের সম্ভার। বাড়ির অন্যান্য মানুষের সাথে একসাথে বসে ‘বিন্জ ওয়াচিং’ করার মতো কোনো সিরিজ এগুলি না, তবে নিভৃতে নির্জনে একা বসে দেখার জন্য পারফেক্ট এই সিরিজগুলির জনপ্রিয়তা কিন্তু অন্যান্য তথাকথিত ‘ভালো’ ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তাকেও ছাপিয়ে যায় কোনো কোনো সময়ে।
“ওয়াচম্যান ৩” ওয়েব সিরিজটি একজন নিরাপত্তা প্রহরী, যাকে ওয়াচম্যান বলা হয়, তার জটিল জীবন নিয়ে আলোকপাত করে। গল্পটি শুরু হয় যখন একজন গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ওয়াচম্যানকে তার ওষুধ আনতে পাঠানো হয়। ওষুধ এনে দেওয়ার সময়, ওয়াচম্যান ঐ মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং তাদের মধ্যে একটি অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একইভাবে, আরও দুজন গৃহবধূর সাথেও তার সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু যখন এই গৃহবধূদের স্বামীরা তাদের সম্পর্ক সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন গল্পটি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
এই ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন প্রিয়া গামরে, পিহু, বিশেষ অরোরা, তানিয়া চ্যাটার্জী এবং দিব্যেন্দু সিং। প্রত্যেক অভিনেতাই তাদের চরিত্রে দক্ষতার সাথে অভিনয় করেছেন এবং গল্পের জটিলতা তুলে ধরেছেন। “ওয়াচম্যান ৩” ওয়েব সিরিজটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। কিছু দর্শক গল্পটির জটিলতা এবং অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন, অন্যরা এটিকে বিতর্কিত এবং অস্বস্তিকর বলে মনে করেছেন। “ওয়াচম্যান ৩” ওয়েব সিরিজটি একটি দক্ষতার সাথে নির্মিত গল্প যা গ্রামীণ পরিবেশে জটিল পরকীয়া সম্পর্কের অন্বেষণ করে। যারা জটিল গল্প এবং অভিনয় উপভোগ করেন তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এই ওয়েব সিরিজটিতে কিছু এমন দৃশ্য রয়েছে, যেগুলো সবার জন্য ভালো নয়, তাই এটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপযুক্ত।