করোনা ভাইরাসের কারণে ইতিমধ্যেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এ বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি হবে মার্কশিট। তার সঙ্গেই মূল্যায়নের জন্য ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ভিন্ন প্রটোকল। মাধ্যমিক পরীক্ষায় মার্কশিট তৈরি করার জন্য নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০% এবং দশম শ্রেণীর ইন্টার্নাল পরীক্ষার (১০ নম্বর) ৫ গুন নিয়ে তৈরি করা হবে মার্কশিট।
আর এক্ষেত্রে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রধান লক্ষ্য হলো স্বচ্ছ মার্কশিট তৈরি করা। তার জন্য এবারে প্রত্যেকটি স্কুলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে এই হুঁশিয়ারি কেন? মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে এমন বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে যারা নিজেদের ছাত্র-ছাত্রীদের অতিরিক্ত নম্বর পর্ষদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারে। যদি এরকম কোন নম্বরে গরমিল থাকে তাহলে সেই সমস্ত স্কুলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
ইতিমধ্যেই পর্ষদ এর তরফ থেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে যেখানে স্কুলের প্রধানরা নিজস্ব তথ্য দিয়ে ওয়েবসাইটে নিজেদের স্কুলের পড়ুয়াদের নম্বর আপলোড করতে পারবেন। ফরমেটিভ ইভালুয়েশন এর নম্বর এবং নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নম্বর আপলোড করা যাবে। স্কুলের প্রধানদের আগামী ২১ জুন সকাল ১১ টা থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নম্বর আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নম্বর আপলোড করার সময় সমস্ত রকম সর্তকতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও টেবুলেশন রেজিস্টার রেডি রাখার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এই রেজিস্টার এজে নম্বর লেখা থাকবে আর ওয়েবসাইটে যে নম্বর আপলোড করা হবে দুটো যেন একেবারে সমান হয়, কোন পড়ুয়ার জন্য যেন কোন রকম অস্বচ্ছতা না করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো নম্বর আপলোড করতে সমস্যা হবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন স্কুলের প্রধানরা। তবে এখনো সময় বৃদ্ধি করা হবে কিনা সেই নিয়ে কোনো ঘোষণা করেনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। জুলাই এর মধ্যেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুন মাসের মধ্যে যদি নম্বর না জমা পড়ে তাহলে জুলাই মাসের মধ্যে রেজাল্ট বের করা একটু সমস্যাজনক হতে পারে। তাই শিক্ষকদের সময় বৃদ্ধির দাবি হয়তো গ্রহণযোগ্য হবে না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।