নিম্নচাপের প্রভাবে সপ্তাহের শেষেও রাজ্যে বৃষ্টি দুর্যোগ অব্যাহত থাকবে। আগামী শনি ও রবিবার রাজ্যে বাড়তে পারে বৃষ্টি বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সর্তকতা জারি করা হয়েছে হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই আংশিক মেঘলা আকাশ রয়েছে কলকাতায়। তবে বেলা বাড়লে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘলা আকাশে তাপমাত্রা বাড়বে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি। তাই আদ্রতাজনিত ভ্যাপসা গরম অনুভূত হতে পারে।
আজ সকালে শহরতলীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্ব্বোচ পরিমাণ ৯২ শতাংশ। গতকালের মতো আজও কলকাতায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী শনি ও রবিবার কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
তবে উত্তরবঙ্গে আজ থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। জানা গিয়েছে, কালিম্পঙ্গে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি, মালদা, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। আগামীকাল শনিবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। দার্জিলিং এবং কোচবিহারেও কমবেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আসলে মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থানের সুস্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে জয়সালমীর গোয়ালিয়ার রাচি বাঁকুড়া হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে মিজোরাম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এই অক্ষরেখা ক্রমশ দক্ষিণবঙ্গ থেকে সরবে বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের উপকূলে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি করছে। এছাড়া রাজস্থানে রয়েছে আরও একটি নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্ত। এই জন্যই শনিবার উত্তরবঙ্গ, সিকিম এবং বিহারে ভারী বৃষ্টি হবে।