ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতার মধ্যেই আবার নতুন করে ঘূর্ণিঝড়েরর সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের জন্য। নতুন ওয়েদার বুলেটিনে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত রীতিমত একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং পূর্ব দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপের আকার ধারণ করেছে। জানা যাচ্ছে রবিবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি হবে এই নিম্নচাপ এর এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
মে মাসের শুরুর দিকেই উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় এবং যদি আশঙ্কা সত্যি হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গ আরো একবার ভয়ঙ্কর একটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখে পড়তে চলেছে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা। মৌসম ভবন এর তরফ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শুক্রবার ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং তা ক্রমশ রূপান্তরিত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের আশংকায় আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ওড়িশা সরকার।
ঘূর্ণিঝড়ের আশংকায় উড়িষ্যার ১৮টি জেলাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার গঞ্জাম, পুরি, খুরদা, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, জাজপুর, ভদ্রক, বালাসোর, কটক, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ধেনকানাল, মালকানগিরি, কোরাপুট, রায়গড়া এবং কন্ধামাল জেলাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উড়িষ্যার সরকারের তরফ থেকে। ইতিমধ্যে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই নির্দিষ্ট জেলা প্রশাসনকে।
অন্যদিকে এ রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলোতেও সর্তকতা বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আনন্দ কুমার দাস বলেছেন, ‘আমাদের ধারণা গভীর নিম্নচাপ থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এই ঘূর্ণাবর্ত। সম্ভাবনা আছে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।’ সে ক্ষেত্রে ভারী বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।