ইতিমধ্যেই নিম্নচাপ বাংলার উপর থেকে সরে গিয়েছে। গতকাল বিকেলের দিকেই এই নিম্নচাপ ঝাড়খন্ড ও ছত্রিশগড়ের দিকে সরে গেছে। কিন্তু নিম্নচাপের প্রভাব দেখা যাবে রবিবারও। পশ্চিমের কিছু জেলাতে আজ রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। সকালের দিকে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে, কলকাতার সহ আশেপাশের কিছু জেলা। কিন্তু বেলা বাড়লেই আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে উপকূলে আজও দমকা ঝড়ো বাতাস বইবে। তাই আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর রবিবাসরীয় দিনে পর্যটক এবং মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর যে কলকাতায় আর দু এক ঘণ্টার মধ্যেই ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। আমজনতাদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে বারণ করা হয়েছে। বিশেষ করে দীঘা এবং তার আশেপাশের বিভিন্ন উপকূলের মানুষদের সতর্ক করা হয়েছে। তবে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকাতে আপাতত আগামী ২-৩ দিন ভারী বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আজ থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে পরিষ্কার আকাশে রোদের দেখা মিলবে। সেইসাথে বাড়বে ভ্যাপসা গরম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গের যে বৃষ্টির ঘাটতি চলছিল, তা কারোর অজানা নয়। তবে এই নিম্নচাপের প্রভাবে শেষ তিন দিন ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তাই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি কমে হয়েছে ২৯ শতাংশ। তবে কলকাতায় এখনো বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৩৯ শতাংশ। আসলে গত দেড় মাস ধরে বারংবার নিম্নচাপ সৃষ্টি হলেও বাংলার বুকে তেমন একটা বৃষ্টি হচ্ছিল না। তবে শেষবারের নিম্নচাপটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল, যার জন্য শেষ কয়েকদিনে বাংলা, বাংলাদেশ ও ওড়িশা উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্র উপকূলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে আজও ৪০-৫০ কিলোমিটার ঘন্টা বেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে।