গতকাল থেকেই বৃষ্টিতে ভিজছে শহর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিও। টানা বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরম থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবাসী। সকালে হালকা শীতের আমেজ ও সেইসাথে বৃষ্টি মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আজ সোমবার ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জানিয়েছে রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই আজকে কমবেশি দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হবে বলেই জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে বইবে ঝোড়ো বাতাস।
এই জন্য হাওয়া অফিস মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে কলকাতায় আজ দিনভর মেঘলা আকাশ দেখা যাবে। সকালের মতোই প্রায় গোটা দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী ২৪ ঘন্টায় শহরতলীতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রী কম এবং গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে যা উত্তর অন্ধপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে শক্তিশালী হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা এবং বাংলা উপকূলে। সমুদ্রপৃষ্ঠে ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ো বাতাস বইতে পারে। তাই আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজ নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও। এই বৃষ্টি আগামীকাল মঙ্গলবার এর আগে বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামীকালও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে।