বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্র, কৃষকদের আয় বৃদ্ধির নিরিখে দেশে শীর্ষে বাংলা

রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হলেই সর্বদাই খবরের শিরোনামে উঠে আসে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত। তবে সম্প্রতি রাজ্যের একটি কাজের জন্য প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলা যে অন্যান্য রাজ্যগুলির…

Avatar

রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হলেই সর্বদাই খবরের শিরোনামে উঠে আসে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত। তবে সম্প্রতি রাজ্যের একটি কাজের জন্য প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলা যে অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় অগ্রগণ্য ভূমিকা নিচ্ছে তা মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক। জানিয়ে রাখি, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ফোরামে দাবি করে আসছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস আমলে গত ১১ বছরে বাংলা কৃষকদের আয় দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এবার সেই তথ্যকেই সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার একটি রিপোর্ট মারফত জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্র কৃষকদের আয় ২০১৬-১৭ এর তুলনায় বর্তমানে ২০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, বাংলার বড় কৃষকদের ক্ষেত্রে (জমির পরিমাণ ১০ হেক্টরের বেশি) আয় উল্লিখিত সময়কালে ৩৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কৃষকদের আয়ের নিরিখে পুদুচেরির সাথে যুগ্মভাবে দেশের শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলা।

এই বিষয় খোদ কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর টুইট করেছেন। এছাড়া আইসিএআর জানিয়েছে, দেশের মোট ৭৫ হাজার কৃষকের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি এবং রাজ্য সরকারগুলির নয়া আকর্ষণীয় নীতির জন্যই গোটা দেশে কৃষিক্ষেত্রে এমন সাফল্য মিলছে। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুইট করে বলা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষকবন্ধু প্রকল্প ৮৯ লক্ষ কৃষককে বছরে দুবার আর্থিক সাহায্য দেয়। আর তার ফলাফল এই বিশাল সাফল্য।

এছাড়া মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর বলে আসেন যে দেশের অন্যান্য জায়গায় কৃষকদের বঞ্চনা করা হলেও বাংলায় রাজ্য সরকার সবসময় কৃষকদের পাশে থাকে। তাইতো করোনার মত জটিল সময়ের মাঝেও বাংলার কৃষকদের পরিবারগুলির মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলার কৃষকদের আয় শুধুমাত্র যে ধান চাষের জন্য বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটা নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে বাংলা কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে হর্টিকালচার এবং পশুপালন একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে।