পশ্চিমবঙ্গের শহর ও মফস্বল এলাকায় রাস্তায় টোটোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একদিকে যেমন এগুলি সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য সুবিধাজনক, অন্যদিকে এর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা এবং যানজটের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত, বেপরোয়া টোটো চালকের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে, টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন নীতি গ্রহণ করতে চলেছে। পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে এই নতুন নীতির খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যা টোটো রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের লাইসেন্সের বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা করবে।
বাংলায় টোটোর রেজিস্ট্রেশন ও পারমিট বাধ্যতামূলক
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী সম্প্রতি এই নতুন নীতির বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “টোটোর রেজিস্ট্রেশন ও পারমিটের ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে সুশৃঙ্খলভাবে টোটো চলতে পারে।” নতুন নিয়ম অনুযায়ী, টোটো চালকদের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং তাদের চালানোর জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এই পরীক্ষায় টোটো চালানোর দক্ষতা পরীক্ষা করা হবে, যা চালকরা দশদিনের মধ্যে দিতে পারবেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের লাইসেন্স দেওয়া হবে। এছাড়া, টোটোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কোড ও নম্বরযুক্ত স্টিকার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে টোটোগুলিকে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে এবং সড়কে তাদের চলাচল পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
১৮ বছরের নিচে পাওয়া যাবে না লাইসেন্স
সেইসাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হচ্ছে, ১৮ বছরের নিচে কাউকে টোটো চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হবে না, কারণ নাবালক চালকদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আর টোটো চলাচলের রুটও নির্দিষ্ট করা হচ্ছে, যাতে রাস্তার উপর একেবারে এলোমেলোভাবে টোটো না চলে এবং যানজটের পরিস্থিতি তৈরি না হয়। বাঁকুড়া পুরসভা এলাকায় ইতিমধ্যে ৭০০টি টোটোতে বিশেষ নম্বর ও কোড বসানো শুরু হয়েছে। সেখানে প্রায় ১৩০০টি টোটো চালানোর জন্য আবেদন জমা পড়েছে, তবে এত সংখ্যক টোটো রাস্তায় নামলে নতুন সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।