ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

West Bengal Government: মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা, এবারে বাধ্যতামূলক হলো আধার কার্ড, সব প্রকল্পেই লাগবে আধার

আধার কার্ড নিয়ে একটা নতুন আপডেট জারি করেছে রাজ্য সরকার

Advertisement

রাজ্যের স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ট্যাব কেনার টাকার বরাদ্দে অনিয়ম রোধে এবারে আধার নম্বর বাধ্যতামূলক করার পথে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগ কার্যকর করতে চলতি বছরে একটি বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। এই বৈঠকে মুখ্য সচিব ছাড়াও থাকবেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কর্তারা। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হবে, শিক্ষার্থীদের ট্যাব কেনার অর্থ যেন সঠিকভাবে পৌঁছায় এবং কোনরকম কোন আর্থিক অনিয়ম না ঘটে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ২০২৫ সাল থেকে ট্যাব কেনার ক্ষেত্রে আধার নম্বর বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।

এই বইটাকে উপস্থিত একজন শীর্ষ সরকারী কর্তা জানিয়েছেন, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অভিজ্ঞতা অনুসারে অনুদান প্রাপকের সংখ্যা দুই কোটির বেশি হলেও সেখানে ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এর কারণ হলো আধার নম্বর সংযুক্ত করার মাধ্যমে প্রতিটি প্রাপকের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাপ কেনার টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত এই পরিচয় পত্র নিশ্চিত করা হয়নি। স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে সেই কারণেই নারী শিশু এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হবে যাতে ট্যাবের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আধার ভিত্তিক শনাক্তকরণ কার্যকর ভাবে প্রয়োগ করা যায়।

বর্তমানে বাংলার শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নাম ব্যাংকের নাম শাখা আইএফএসসি কোড এবং একাউন্ট নম্বর দিয়ে নথিভুক্তকরণ করা হয়। যেসব স্কুলে বৃত্তিমূলক কোর্স চালু আছে, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের তরুণের স্বপ্ন পোর্টালে নথিভুক্তকরনের প্রক্রিয়া বর্তমানে চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো পোর্টালেই আধার নম্বর যোগ করার কোন বিষয় চালু হয়নি। তবে এবার থেকে হয়তো এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে পারে পুরো পশ্চিমবঙ্গে। অনেক শিক্ষক জানিয়েছেন, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সময় আধার নম্বর নেওয়া হয়। সেই কারণেই এবার পোর্টালে আধার নম্বর সংযুক্ত করা হলে বিষয়টা সহজেই কার্যকর করা সম্ভব হবে। এ পাশাপাশি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ব্যাংক বা ডাকঘরের একাউন্ট যেহেতু আধার নম্বর এর সাথে সংযুক্ত, তাই এই ব্যবস্থা অনিয়ম রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়াও ট্যাপ কেনার ক্ষেত্রে সরকারি অনুদান বিতরণের জন্য আধার নম্বর সংযুক্ত করার পাশাপাশি বায়োমেট্রিক যাচাই এর বিষয়টিও বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। এই ব্যবস্থা চালু হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর সঠিকভাবে পরিচয় নিশ্চিত করে তবেই টাকার বরাদ্দ সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হবে তাদের কাছে।

Related Articles

Back to top button