Old Age Pension: বার্ধক্য ভাতায় আর থাকবে না কোন আয়ের সীমা, নতুন নিয়ম জারি করে দিল নবান্ন
আপনারা যদি লক্ষীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতাতে স্থানান্তর হন তাহলে কিন্তু আপনার কোন রকম আয়ের সীমা আর থাকবে না
রাজ্য সরকারের নারী কল্যাণমূলক প্রকল্পে আবারো একটা নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধাভোগী মহিলারা যারা ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছেন তাদের এবারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। তবে বর্তমানে এই ভাতা পাওয়ার জন্য এটি আয়ের সীমা রয়েছে এবং সেই সীমা এবারে তুলে নিয়েছে নবান্ন। এর ফলে রাজ্যের বহু মহিলা সরাসরি উপকৃত হতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে।
কি পরিবর্তন আসতে চলেছে?
বর্তমানে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে আপনারা যদি ভাতা পেতে চান তাহলে মাসিক আয়ের সীমা ১০০০ টাকার মধ্যে হতে হতো। তবে নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতা স্থানান্তর হওয়া মহিলাদের এই আয়ের ঊর্ধ্বসীমা কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বলতে গেলে এখন আর আয়ের সীমা প্রযোজ্য হবে না তাদের জন্য। এবার থেকে যাদের ষাট বছর বয়স হবে তাদের সরাসরি বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে। এই নতুন নিয়ম কার্যকর হলে তাদের জন্য মাসিক ১০০০ টাকা আয়ের সীমা প্রযোজ্য হবে না। রাজ্যের নারী শিশু এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
কাদের জন্য গ্রহণ করা হবে এই উদ্যোগ
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত মহিলারা যাদের ষাট বছর বয়স হয়ে গিয়েছে তাদের জন্যই এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। বার্ধক্য ভাতা হলে এমন একটা প্রকল্প যেখানে একটা আয়ের সীমা এতদিন পর্যন্ত ছিল। তবে এবারে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলারা আরো বেশি পরিমাণে এর সুবিধা পেয়ে যাবেন। বার্ধক্য ভাতার জন্য আলাদা করে আবেদন করার কোন ঝামেলা থাকবে না এবং আয়ের সীমা না থাকায় আরো বেশি মানুষ ভাতা পেতে পারবেন। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে যদি বার্ধক্য ভাতায় সরাসরি স্থানান্তর হয় তাহলে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এই টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়ে যাবে।