বাজেট অধিবেশনে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ ৬৭৫ কিলোমিটার স্টেট হাইওয়ে, বিনিয়োগ ২৫ হাজার কোটি টাকা
তামিলনাড়ু ৩৫০০ কিলোমিটার ও কেরল ১১০০ কিলোমিটার স্টেট হাইওয়ে পাবে
করোনা পরিস্থিতির মাঝেই চলতি বছরের বাজেট অধিবেশন আজ অর্থাৎ ১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১।চলতি বছরের বাজেট অধিবেশন অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে তা বলাই বাহুল্য। করোনা পরিস্থিতিতে কি করে অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারবে সেই দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশবাসী। ২০১৯ সালে নির্মলা সীতারামন বাজেট অধিবেশনের প্রায় ২ ঘন্টা বক্তৃতা দেন। তারপর ২০২০ তে নিজের রেকর্ড ভেঙে বাজেট অধিবেশনে আড়াই ঘন্টা ভাষণ দেন তিনি। চলতি বছরের বাজেট অধিবেশনের সম্পূর্ণ অন্যরকম। করণা পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য খাতে বেশি বরাদ্দ করতে হবে যাতে কোনো রকম কোনো অঘটন ঘটলে ধার না করতে হয়।
তবে বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই মনে করা হয়েছিল কোভিড পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর জন্য পরিকাঠামো নির্মাণ করতে জোর দেওয়া হবে। আর বাস্তবেও তা করে দেখালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নির্মলা সীতারামন পশ্চিমবঙ্গ ৬৭৫ কিলোমিটার স্টেট হাইওয়ের নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন। তিনি আজকের বাজেট অধিবেশনে জানিয়েছেন, তামিলনাড়ু, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ এই তিন রাজ্যে স্টেট হাইওয়ে নির্মাণ করা হবে এবং তার সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মোটা টাকা বরাদ্দ করা হবে। তারমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পাচ্ছে ৬৭৫ কিলোমিটার স্টেট হাইওয়ে। এছাড়াও কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি অব্দি রাস্তা মেরামত করা হবে’। অন্যদিকে তামিলনাড়ু পাবে ৩৫০০ কিলোমিটার স্টেট হাইওয়ে ও কেরল পাবে ১১০০ কিলোমিটার রাস্তা। এছাড়াও মুম্বাই থেকে কন্যাকুমারী অব্দি হাইওয়ে তৈরি করা হবে। আসামে ১৯ হাজার কিলোমিটার রাস্তা মেরামত করা হবে।
নির্মলা সীতারামন এর বাজেট অধিবেশন চলাকালীন দেশের তিনটি রাজ্যে এমন হাইওয়ে দেওয়ার প্রস্তাব কিছুটা হলেও অবাক করেছে রাজনীতিবিদদের। কিন্তু এর পিছনে বেশ ভালই পরিকল্পনা আছে। কারণ আপনাদের জেনে রাখা ভালো যে এই তিন রাজ্যেই বিধানসভা ভোট আসন্ন। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট একদম দোরগোড়ায়। এমনিতেই গেরুয়া শিবির যেকোনোভাবে বাংলায় তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তবে সরকারি কর্তাদের বক্তব্য, বাংলা স্টেট হাইওয়ের নির্মাণে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। স্থানীয় লোকজন এই করোনা পরিস্থিতিতে কাজ পাবে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য যাতায়াতের জন্য পথ সুগম হলে বাজারে চাহিদা বাড়বে এবং খুব সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যাবে।