আগামীকাল অর্থাৎ ১১ নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে লোকাল ট্রেন। তার আগেই রাজ্য সরকার ট্রেন চলাচলের উপরে নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন প্রকাশ করল। এই গাইডলাইন ঠিক করার জন্য ভিড় স্টেশনের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে লোকাল ট্রেন চলা নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী জারি করা হয়।
এই বৈঠকে জানানো হয়েছে, লোকাল ট্রেন চালু হলে এই ট্রেনের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা রাজ্য সরকারের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। শহর এবং শহরতলী স্টেশনে ঢোকা এবং বেরোনোর ১টি কি ২টি পথ খুলে রাখা হচ্ছে। বাকি পথগুলি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
স্টেশনে প্রবেশের সময় যাত্রীদের থার্মাল চেকিং করা হবে। প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক পড়তে হবে। মাস্ক না পড়লে অথবা থার্মাল চেকিং ঠিকভাবে না হলে সেই যাত্রীকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে না। আরপিএফ এবং জিআরপি এর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো হবে। প্রত্যেক যাত্রী মাস্ক পড়েছেন কিনা সে বিষয়ে রেল এবং স্থানীয় প্রশাসন নজর রাখবে।
রেলের কামরায় বর্তমানে কোন হকারকে উঠতে দেওয়া হবে না। স্টেশনের দোকানগুলি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা হচ্ছে এখন। তবে ব্যবসায়ীরা চাইলে ভেন্ডার কামরাতে যাত্রা করতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের আশেপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ যানবাহনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে যাতে সমস্ত গাইডলাইন ঠিকভাবে মানা হয়।
প্রতিটি স্টেশনে আলাদা ঘর রাখা হবে। যদি কোন যাত্রীর করোনা উপসর্গ ধরা পড়ে, তাহলে ওই ঘরে রেখে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। তারপর তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করা হবে। এখনো করোনার সংক্রমণ বেশ ভালো গতিতে চলছে। তাই এই মুহূর্তে যদি সঠিক স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ট্রেন চালানো হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। এই কারণেই ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে এই সমস্ত গাইডলাইনস তৈরি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।