বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রত্যেকেই জানিয়ে দিয়েছে বাঁচতে হবে করোনাকে সঙ্গী করেই। এর মধ্যেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে জীবন ও জীবিকাকে। থমকে যাওয়া চলবে না জীবনে। তাই বিকল্প পথের সন্ধান করল সোনাগাছির মহিলারা। করোনা আবহে সোনাগাছিতে বেশ কিছু অবশ্য পালনীয় বিধিনিষেধ বেঁধে দিল দু্র্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি।
দেহব্যবসায় নিযুক্ত পেশাদার মহিলা ও খদ্দেরদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এক অভিনব পন্থা নিতে চলেছে তারা। জানা গেছে, সোনাগাছিতে আসা খদ্দেরদের আপাদমস্তক স্যানিটাইজার করার পরই সঙ্গম করবেন পেশাদার মহিলারা। প্রয়োজনে খদ্দেরদের স্নান করিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে দুর্বার। বাংলার এক প্রথম সারির দৈনিক সংবাদপত্রে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বিশাখা লস্কর জানান, ‘প্রত্যেক মেয়ের ঘরের সামনে লাইফ বয় সাবান ও সাবানজল রাখা হচ্ছে। ক্লায়েন্ট এলে তাকে আগে স্যানিটাইজ করা হবে। এরপর আলাদা জায়গায় জামাকাপড় রেখে মেয়েদের কাছে যেতে পারবেন। প্রয়োজনে বিছানাও স্যানিটাইজ করে নেবে মেয়েরা।’
দীর্ঘদিন দু্র্বারের সঙ্গে কাজ করে আসা সমাজকর্মী মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায়ও একই কথা জানান। প্রসঙ্গত, করোনা আবহে সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছে সোনাগাছির মেয়েরা। মাস্ক ও স্যানিটাইজার তৈরি করে তা সোনাগাছির হাজার হাজার মেয়েদের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছে তারা। এছাড়া, কেউ যদি তাদের তৈরি মাস্ক ও স্যানিটাইজার কিনে নিতে চায়, তাহলে তা বিক্রি করতেও রাজি দুর্বার।