কলকাতানিউজরাজ্য

বিকেল ৫ টা থেকে শুরু লকডাউন, কোথায়, কি নিয়ম রয়েছে, জানুন বিস্তারিত

এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৮২৭ জনের।

Advertisement

আজ থেকে ফের রাজ্যের সব কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া লকডাউন শুরু হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন যে আপাতত ৭ দিনের জন্য লকডাউন চলবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৮২৭ জনের। রাজ্যের ৫ জেলাতে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। এই জেলাগুলি হল-কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা।

কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩৬ টি। উত্তর ২৪ পরগণাতে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৯৪ টি। হাওড়াতে রয়েছে ৪৫ টি কন্টেনমেন্ট জোন। দমদম পুরসভাতে ১১ টি। বারাসত পুরসভায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৮৷ মধ্যমগ্রাম পুরসভায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৬৷ হাবড়া পুরসভায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৫৷ বিধাননগর পুরসভায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৫ ৷

মুখ্যমন্ত্রী এদিন হুঁশিয়ারির সঙ্গে স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সাতদিন প্রয়োজন ছাড়া কন্টেনমেন্টের জোনের লোকেদের বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে কেউ মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলেই পুলিশ তাঁকে ধরবে। সাথে সাথেই সেই ব্যক্তিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এর সাথে তিনি এটাও বলেন যে তিনি চাইলে জরিমানা করতে পারেন। কিন্তু লকডাউনে মানুষের আর্থিক অবস্থা ঠিক নেই। এর মধ্যে ২০০০ টাকা জরিমানা করলে ভালো হবে না। তাই যারা মাস্ক পরবেন না। তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী এটাও বলেন যে আগে কন্টেনমেন্ট জোনগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। A রেড জোন, B বাফার জোন ও C আইসোলেশন জোন। তবে এবার সেই নিয়ম পাল্টাচ্ছে। এখন থেকে A ও B জোন থেকে কিছু এলাকা নিয়ে ছোট ছোট কনটেইনমেন্ট জোন করা হচ্ছে। রেড জোন ও বাফার জোন মিলিয়ে কনটেইনমেন্ট জোন করা হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলাতে কন্টেনমেন্ট জোনগুলির জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে ওই এলাকাগুলির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখতে হবে। লোকের প্রবেশ ও বেরোনোর উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকবে। হোম ডেলিভারির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেবে স্থানীয় প্রশাসন। ওই এলাকাগুলির মানুষদের অফিসে হাজিরা না দিলেও চলবে।

Related Articles

Back to top button