শনি-রবি জমিয়ে বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে, সোমবার দাপট বাড়বে, জানুন ওয়েদার আপডেট
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনি ও রবিবার প্রচন্ড বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। সেই বৃষ্টির দাপট সোমবার বৃদ্ধি পেতে পারে অনেকটাই। আসন্ন ঘূর্ণাবর্ত যদি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত না হয় তাহলে, সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পাশাপাশি সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গেও প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত, যা শীঘ্রই নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে শক্তি বৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি আরো শক্তি বৃদ্ধি করে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকেই অগ্রসর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বর্ষা বিদায়-
দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান থেকে ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে বর্ষা। নোখরা, যোধপুর, বর্মা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর বিদায় রেখা। পরবর্তী আরো দু-তিন দিনের মধ্যে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু রাজ্য থেকে বিদায় নিতে চলেছে বর্ষা। উত্তর-পশ্চিম ভারতে বর্ষা বিদায়ের অনুকূল আবহাওয়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। অন্ধপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার উপকূলবর্তী পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে বজায় থাকবে ঘূর্ণাবর্ত। শুক্রবার পর্যন্ত বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি তাপমাত্রা বাড়িয়ে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকে বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেবে। বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় মালদহ, উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকবে। এক্ষেত্রেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকে বজায় রাখবে। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে পারে। সোম-মঙ্গলে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ার আশঙ্কা।
বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি আদ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়াবে কলকাতাতেও। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা তেমন নেই বললেই চলে। স্বাভাবিকের উপরে থাকবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। সপ্তাহের শেষে ফের আবহাওয়ার পরিবর্তনে বৃষ্টি হতে পারে শহরে। বুধবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬° সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২° বেশি। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৬° সেলসিয়াস,যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১° বেশি। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা শহরের তাপমাত্রা থাকবে ২৮-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মুহূর্তে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৪-৯৭ শতাংশ।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পরবর্তী কয়েকদিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বৃষ্টির পরিমাণ বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার সহিত বৃদ্ধি পাবে আরো। উল্লেখ্য, অন্ধপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়া, রায়েলসীমা ও কঙ্কনে আগামী বেশ কয়েকদিন বিক্ষিপ্তভাবে হবে বৃষ্টি।