কলকাতা: রাজ্যে করোনার Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের ধারনা রাজ্যের ভোটের (State Election) আবহাওয়ায় একাধিক রাজনৈতিক দলের জনসমাগমের কারনে ফের বাড়তে পারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে করোনা ভাইরাসের জিনের ‘সিকোয়েন্স’ করে জানা গিয়েছে, ভারতে (India) করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। এতেই বাড়ছে আতঙ্ক।
মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়ে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে, তাতে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। এদিকে রাজ্যের হাতে গোনা জেলা বাদ দিয়ে সব জেলাতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ধরা পড়েছে আজও। রাজ্যের ২৩ টি জেলার মধ্যে ৩ টি জেলায় এদিন কোন সংক্রমন ধরা পড়েনি। জেলাগুলি হল আলিপুরদুয়ার, দক্ষিন দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রাম। আজকের বুলেটিনে রাজ্য সরকার জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণাতেও বেড়েছে সংক্রমন।
রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ? করোনা ঠেকাতে আগেভাগেই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্নের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা থেকে এই রাজ্যে যদি কাউকে আসতে হয় তবে বাধ্যতামূলক হিসেবে সাথে রাখতে হবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। এদিকে রাজ্য সরকারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্য জুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৯ জন। যা গতকালের থেকে সংখ্যায় ৩ টি কম। রাজ্যে সার্বিক ভাবে মোট আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫০০ জন।
আশার কথা হল, এই বিপুল আক্রান্তের মধ্যে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৩৫৩ জন। তবে রাজ্যে দ্রুত বাড়ছে সুস্থতার হার, কমছে মৃত্যুর গতিও। মৃত্যু সংখ্যায় রাজ্যকে ভোগাচ্ছিল কো-মর্বিডিটি! এখন সেটা নিয়ন্ত্রনে। এখন পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ২৬০ জনের। মৃত ১০ হাজার ২৬০ জনের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গিয়েছেন মাত্র ৪ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১৯ জন। আজকের ২১৯ জন কে নিয়ে এখন পর্যন্ত রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৮৭ জন।
এদিনের বুলেটিনে রাজ্য সরকার জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের টেস্ট হয়েছে মোট ২০ হাজার ৩৯৬ টি। এখন পর্যন্ত রাজ্যে মোট টেস্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫ লক্ষ ৩ হাজার ৪১৭ টি। ১০০ টি টেস্ট পিছু রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬.৭৬ শতাংশ। রাজ্য জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৭.৬৩ শতাংশ মানুষ।