বেশ কয়েকদিন ধরেই সিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল সুশান্তের সঙ্গে ফ্ল্যাটে থাকা বাকি চারজনকে। সুশান্তের ঘরের উল্টো দিকে থাকতেন তাঁর ফ্ল্যাট মেট সিদ্ধার্থ পিঠানী। বাকি তিনজনের মধ্যে সুশান্তের কেয়ারটেকার দীপেশ, রান্নার লোক কেশব ও সহকারী নীরজ। এঁদের জেরা করে ১৪ জুন সকালে সুশান্তের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই।
১৪ই জুন ভোর ৫.৩০ টায় সবার আগে ওঠেন দীপেশ। এরপর কাজ সেরে সুশান্তের ঘরে গেলে দীপেশ সুশান্তকে বিছানায় বসে থাকতে দেখেন। চা জলখাবারের কথা বললে সুশান্ত জানান যে তিনি কিছুই খাবেন না। কেশব-নীরজ ৭টা নাগাদ ওঠেন। ৮ টা থেকে ৮.১৫ নাগাদ ঘরের বাইরে এসে নীরজের কাছে ঠান্ডা জল চান সুশান্ত। ৯টা ১৫ নাগাদ সুশান্তকে বেদানার জুস ও ডাবের জল দিতে গিয়েছিলেন কেশব। সেই শেষবারের মত দেখে সুশান্তকে।
এরপর সাড়ে ১০টার দিকে দুপুরের খাবার মেনু জিগেস করতে গিয়ে সুশান্তের ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। এরপরই সিদ্ধার্থ কে ডাকা হয়। সাধারণত, রিয়া না থাকলে ঘরের দরজা বন্ধ রাখতেন না সুশান্ত। কিন্তু সেদিন বন্ধ ছিল ঘরের দরজা। এরপরই দিদি মীতুকে ও চাবিওয়ালাকে ফোন করে ডাকা হয়।