১৫ই এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দূরপাল্লার ট্রেনগুলি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল। ১৪ তারিখের পর দেশ থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন উঠবে না বলেই মনে হচ্ছে। এই অবস্থায় লকডাউনের আগে যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছে তাদের জন্য এই এক সপ্তাহ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন চালানো হতে পারে। তবে এই সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে দূরপাল্লার ট্রেন গুলির জন্যই। হাওড়া, শিয়ালদহ শাখায় কিছু লোকাল ট্রেন চালানো হলেও তা কেবলমাত্র রেলের অফিসিয়ালসদের জন্যেই চালানো হতে পারে।
করোনা ভাইরাসের জন্য পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের একাধিক কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করা হয়েছে। ফলে ১৫ই এপ্রিল থেকে ট্রেন চললেও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হবে তা বলাই যায়। ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কোন কোন ট্রেন চলতে পারে তার একটি তালিকা পূর্ব রেল ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে। যদিও ১৪ই এপ্রিলের পরের যাত্রার টিকিট বুকিং করা যাচ্ছে রেলে। তবে রেলের তরফে এও জানানো হয়েছে যে, ১৫ই এপ্রিল থেকে ট্রেন না চললে যারা টিকিট বুকিং করেছে তাদের টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত চলে যাবে।
১১ই এপ্রিল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্য গুলির মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক হবে ভিডিও কনফারেন্সে। সেখানেই ১৪ই এপ্রিলের পরবর্তী পরিস্থিতি কি হবে তা ঠিক করা হবে। রেলের তরফে ট্রেন চালানোর সব রকম ব্যবস্থা নিয়ে রাখা হচ্ছে, যদিও এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি ১৫ তারিখ থেকেই দেশজুড়ে ট্রেন চলবে কিনা। রেলের এক আধিকারিক বলেছেন, ১৫ তারিখ থেকে ট্রেন চলবে কি চলবে না সবটাই কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
এই মুহুর্তে ট্রেন চালানোর থেকে বেশি করে নজর দেওয়া হচ্ছে সুরক্ষার বিষয়টি। রেলবোর্ডের সাথে রেলের সমস্ত জোন গুলির জেনারেল ম্যানেজারদের ভিডিও কনফারেন্সে কথা হয়েছে। সেখানে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভিকে যাদব জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তের বিচারে গোটা দেশকে তিনটি জোনে ভাগ করতে চায় কেন্দ্র। রেড, ইয়েলো এবং গ্রীন। রেড জোনে এই মুহুর্তে ট্রেন চলার কোনো সম্ভাবনাই নেই। ইয়েলো জোনে নিয়ন্ত্রিত ভাবে চলতে পারে এবং গ্রীন জোনে স্বাভাবিক ভাবেই চলতে পারে ট্রেন। তবে এখন কেন্দ্রীয় সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রেলবোর্ড।