করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে গত বছরের মার্চ মাস থেকে গোটা রাজ্যে বন্ধ আছে সমস্ত স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কবে খুলবে স্কুল? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজ্যস্তরে। এরইমধ্যে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মন্তব্যে জল্পনা বেড়েছে আরো একটু। তিনি হঠাৎই রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর বলেছেন যেদিন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে সেদিন থেকেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল খোলা যাবে।
করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে গত মার্চ মাস থেকে স্কুলের সমস্ত পঠন পাঠন বন্ধ আছে। এরই মাঝে চলছে অনলাইনে ক্লাস। কিন্তু অনলাইনে ক্লাস করে সবাই ঠিকমতো তাদের পঠন-পাঠন চালাতে পারছে না। অন্যদিকে পড়শী রাজ্য অসম সহ বিভিন্ন রাজ্যে এরমধ্যে স্কুল খুলে গিয়েছে। এছাড়াও ত্রিপুরাতে আজ থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চালু হচ্ছে। সেইকথা ভেবেই রাজ্যের শিক্ষক সংগঠনগুলি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে স্কুল চালু করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
শিক্ষক সমিতির অনুরোধের জবাব দিয়ে গতকাল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “জীবাণুমুক্ত কাজ হবে সর্বপ্রথম। কোন রাজ্যে কি হচ্ছে সেটা জেনে আমার কোন লাভ নেই। আমাকে যেমন রাজ্যে পঠন-পাঠন চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ঠিক তেমনি পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভাবতে হবে। তাই আমাদের এখন প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে স্কুলগুলোকে জীবাণুমুক্ত করা। ইতিমধ্যেই জীবানুমুক্ত করণের কাজ বিভাগীয় স্তর শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত যেদিন নেবে সেদিন থেকেই স্কুল খুলে যাবে।”
অন্যদিকে বাংলায় আবার দুজনের করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতির সংক্রমণ হয়েছে। তার জেরে ভবিষ্যতে কি হবে তা নিয়ে চলছে প্রবল জল্পনা-কল্পনা। এর মাঝে আজব স্কুল খোলা যাবে নাকি তা নিয়ে সন্দেহ সমস্ত মহলে। তবে জানা যাচ্ছে এই করোনার মাঝে স্কুল খুললে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে অর্থাৎ একটা ক্লাসে কত জন পড়ুয়া বসবে বা কি করে পড়ুয়ারা স্কুলে যাবে সেই নিয়ে একটি খসড়া নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে। এবার কবে বাংলায় স্কুলগুলি খোলে সেটাই দেখার।