প্রতিটি মানুষের কাছেই তার চুল ভীষণ প্রিয়। যেকোনো ধরনের সাজের সাথেই সকলেই চান নতুন করে নিজেদের চুলকেও সাজাতে। তবে বিভিন্ন সময় চুলে নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যার ফলস্বরপ অনেকসময় অকালে চুল পড়ে যায় কিংবা চুল সাদা হয়ে যেতে থাকে। বলাই বাহুল্য, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই ধরনের সমস্যা বেশিরভাগকেই সহ্য করতে হয়। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই পাওয়া যেতে পারে এই সমস্যার সমাধান। বিস্তারিত জানুন।
১) চা ও কফি- প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণমতো জল নিয়ে তাতে চা পাতা দিতে হবে ৪ থেকে ৫ চা চামচ। এরপর গ্যাসে এটি ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। রঙ আরো গাঢ় করার জন্য পরিমাণমতো কফিও মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে চায়ের সাথে। গ্যাসে ঐ মিশ্রণ খুব ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে, যাতে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত জল না থাকে। এরপর ঐ মিশ্রণ ভালো করে চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। এটি লাগানোর পর যতক্ষণ না চুল শুকাবে ততক্ষন চুল ধোয়া যাবে না। চুল শুকিয়ে গেলে মাথা জল দিয়ে ধুয়ে নিলেও সাথে সাথে শ্যাম্পু না করাই ভালো। কারণ তখনই শ্যাম্পু করে নিলে চুলের রঙ হালকা হয়ে যেতে পারে।
২) মেহেন্দি- একটি পাত্রে কালো কিংবা সবুজ মেহেন্দি নিয়ে তাতে চায়ের লিকার যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। সেই মিশ্রণে এক চামচ নারকল তেলও যোগ করে নেওয়া প্রয়োজন। এরপর সেই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে অন্তত দু’ঘণ্টা শুকানোর জন্য ছেড়ে দিতে হবে। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তা পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে যদি চুল পুরোপুরি কালো না হয় তাহলে, সাতদিন পরে আবার একই প্রক্রিয়ায় মেহেন্দি লাগাতে হবে চুলে।
৩) কারি পাতা- কারি পাতা ও নারকেল তেল একসাথে মিশিয়ে চুলে লাগানো হলে তা শুধুমাত্র চুলের রঙ বদলায় না, পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। একটি পাত্রে ১৫ থেকে কুড়িটি কারিপাতা নিয়ে তার মধ্যে এক কাপ নারকেল তেল দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর কারি পাতাগুলি ঐ তেল থেকে তুলে নিয়ে আলাদা রেখে দিতে হবে। কারি পাতা দিয়ে ফোটানো এই নারকেল তেল চান করার অন্তত এক ঘন্টা আগে মাথায় মেখে নিতে হবে। এই তেল প্রতিদিন ব্যবহার করলেই পরিবর্তন চোখে পড়বে নিজেরই।