বাংলায় নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী দের সামনে নিয়ে আসতে শুরু করেছিল।একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস বলেছিল তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই, সেখানে বাম কংগ্রেস জোট থেকে অধীর চৌধুরী কে সামনে আনা শুরু হয়। কিন্তু এবারের নির্বাচনের যোগ্য দাবিদার ভারতীয় জনতা পার্টি কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে সামনে আনে নি। প্রথম থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টি কে বহিরাগত তকমা দিয়ে কটাক্ষ করা শুরু করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদি মাঠে নেমে প্রচার করতে শুরু করেন, বহিরাগত নন, যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলার ভূমি পুত্র হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কে আসলে সে ভূমিপুত্র? এই নিয়ে কেউ কিন্তু এখনো কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
একবার মনে করা হয়েছিল ভূমিপুত্র হতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ, আবার অনেকের মতামত স্বপন দাশগুপ্ত। তারপর একবার মনে হয়েছিল সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তী হতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অনেকের মতামত ছিল আবার, মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেবার পর মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বাংলায়। কিন্তু সৌরভ বিজেপিতে যোগ দেওয়া তো দূরের কথা, তিনি বলে দিয়েছেন রাজনীতিতে তিনি এখনই আসছেন না। ফলে সৌরভ এখন অনেকটাই দূরে।
অনেকের আমার মতামত সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী হতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। তবে অমিত শাহ এবং বাংলার উন্নয়ন ও বিজেপি নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এখনই কিন্তু তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নাম ঘোষণা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি এদিন কামারহাটি তে দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করার সময় অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন, “বাংলার ভূমি পুত্রই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।”
দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী আবার দিলীপ ঘোষের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। নির্বাচনে না জানালেও এরকম ভূয়সী প্রশংসা পেয়ে নিজেও কিছুটা অবাক হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ নিজেও আগে জানিয়েছিলেন নির্বাচনে না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া যাবে না এরকম কোন মানে নেই। তাহলে কি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দিলীপ ঘোষ? প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসার পরে কিন্তু রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।