ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস: অনেক পুরুষদের ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের স্তন স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বড়। পুরুষদের এই অস্বাভাবিক স্তন বৃদ্ধির ঘটনাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে, গাইনেকোমাস্টিয়া। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে এধরণের সমস্যায় খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এ সমস্যা থেকে যায়, অনেকের আবার কিছুদিন পর মিলিয়েও যায়।
কেন হয় এই গাইনেকোমাস্টিয়া?
গাইনেকোমাস্টিয়ার নানা কারণ আছে। তার মধ্যে প্রধান হলো হরমোনের তারতম্য ও ভারসাম্যহীনতা। তবে অনেক সময় স্তনে চর্বি জমলেও স্তন ঝুলে যেতে পারে। সেটা কিন্তু গাইনেকোমাস্টিয়া নয়। এটি নবজাতক, বয়ঃসন্ধিকালে বা বয়ঃসন্ধিকালের আগে এবং বৃদ্ধ অবস্থায় বেশি করে দেখা যায়। বিভিন্ন ওষুধের সাইড এফেক্টের জন্য, রক্তে ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্য, টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যাওয়া, বা কোনো বড় রোগের পূর্বাভাস হিসেবেও এটি আসতে পারে। লিভারের কোনো রোগ, বা অণ্ডকোষের কোনো সমস্যা এর জন্যেও গাইনেকোমাস্টিয়া হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর সঠিক কারণটা জানা যায় না।
এর জন্য কি করণীয়?
প্রথমেই দেখতে হবে কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে এটি হয়েছে কিনা। বেশ কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টি সাইকোটিক ওষুধ এ সমস্যা তৈরি করে। তাই সেগুলো ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ যেমন অ্যান্টি অ্যানড্রোজেন এবং ডিএনআরএইচ অ্যানালগগুলো গাইনেকোমাস্টিয়া সৃষ্টি করে। তাই কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় এমনটা হচ্ছে বুঝলে, সেই ওষুধ বন্ধ করে দিতে হবে। অণ্ডকোষে টিউমার হলে সেক্ষেত্রে শরীরে ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এসব করেও যদি না কমে তাহলে অপারেশনই একমাত্র পথ। স্বাভাবিক অস্ত্রোপচারেই এ সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। ছেলেদের স্তনে এ ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করলে লজ্জা না পেয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।