অরূপ মাহাত: কার্যারম্ভের দেবতা প্রতিটি শুভ কাজের পূজিত হন গণেশ। এছাড়াও, প্রতিটি দেবতার আরাধনার আগে পূজো নিবেদিত হয় গণেশের উদ্দেশ্যে। তা সত্ত্বেও বছরের আরও দুটো দিন বিশেষ ভাবে পূজিত হন গণপতি বাপ্পা। এই দুটি দিন গণেশ চতুর্থী নামে পরিচিত। কোন দুটি দিন গণেশ চতুর্থী, কেনই বা এই দিনগুলোতে বিশেষ ভাবে গণেশ আরাধনা?
প্রতি বছর ভাদ্র ও মাঘ মাসের শুক্লা চতুর্থীর দিনটি গণেশ চতুর্থী হিসেবে পালিত হয়। হিন্দু বিশ্বাস মতে, এই দিনটিতে গণেশ জন্মগ্রহণ করেন। তাই তাঁর জন্মদিন উদযাপনের উদ্দেশ্যে ওই দিন গণেশ চতুর্থী উৎসব পালন করা হয়। তবে গণেশ চতুর্থী নিয়ে একটি কাহিনী হিন্দুসমাজে প্রচলিত রয়েছে।
লোকবিশ্বাস মতে, একবার গণেশ চতুর্থীতে প্রতি বাড়িতে মোদক ভক্ষণ করে ভরা পেটে ইঁদুরে চেপে ফিরছিলেন গণেশ। পথে ইঁদুরের সামনে একটি সাপ এসে পড়লে সে ভয়ে কাঁপতে শুরু করে। এতে গণেশ পড়ে যান ও তাঁর পেট ফেটে সব মোদক রাস্তায় পড়ে যায়। গণেশ উঠে সেগুলি কুড়িয়ে পেটের মধ্যে পুরে পেটের ফাটা জায়গাটি ওই সাপ দিয়ে বেঁধে দেন। আকাশ থেকে চন্দ্র তা দেখে হেসে ফেলেন। তাই গণেশ অভিশাপ দেন যে চতুর্থীর দিন কেউ চাঁদ দেখবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গণেশ অত্যন্ত মোদকপ্রিয় দেবতা।