আজ সকালে সকলকে অবাক করে দিয়ে চিরঘুমের দেশে বিলীন হয়ে গেলেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। চিরদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল তাঁর কোকিল কন্ঠ। ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে রীতিমতো শোকোস্তব্ধ গোটা দেশ। ৯২ বছর বয়সে করোনা পরবর্তী অসুস্থতায় মৃত্যু হল তাঁর। প্রায় ১ মাস আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না কিংবদন্তির। হাসপাতালের চিকিৎসকদের টিম জানিয়েছেন, “ধীরে ধীরে লতা মঙ্গেশকরের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। শেষ চেষ্টা করার জন্য লতাজিকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হলেও, কোনো লাভ হল না।”
লতা মঙ্গেশকর সঙ্গীতের জগতে এক অসামান্য ছাপ ছেড়ে গেলেন। তিনি তাঁর জীবনে প্রচুর গান গেয়েছেন। প্রায় ৩০ টি ভাষায় ৩০ হাজার গান গেয়ে রেকর্ড স্থাপন করেছেন তিনি। তাঁর রোমান্টিক হিন্দি গানের অনুরাগী প্রত্যেক ভারতীয়। তাঁর কোকিলকণ্ঠী গলা প্রত্যেকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তাঁর রোমান্টিক গানের হাত ধরে তৈরি হয়েছে অনেক মিষ্টি সম্পর্ক। তবে ‘সুরের সরস্বতী’ কিংবদন্তি গায়িকা নিজে সারাজীবন অবিবাহিত ছিলেন। কিন্তু কেন? জানতে হলে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
লতা মঙ্গেশকর পুরনো এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, “তিনি তাঁর ভাই-বোন এবং পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বিয়ে করেননি।” আসলে ছোট্ট বয়স থেকে বাবার সাথে থিয়েটার করেন লতাজি। কিন্তু ১২ বছর বয়সে হঠাৎ করে পিতার মৃত্যুর কারণে সংসারের পুরো দায়িত্ব বড় মেয়ে লতাজির ওপর এসে পড়ে। তখন থেকেই তিনি তাঁর ৪ ভাই বোনের যত্ন নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে দেন। ওই সময়ে একাধিক হিন্দি এবং মারাঠি সিনেমাতে কাজ করেন তিনি। কাজের ফাঁকে তাই আর কখনো বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি গায়িকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লতা মঙ্গেশকরের চার বোন এবং এক ভাই রয়েছে। ৩ বোন সঙ্গীত জগতের সাথে যুক্ত। তাঁরা হলেন আশা মঙ্গেশকর, ঊষা মঙ্গেশকর এবং মিনা মঙ্গেশকর। এছাড়া লতাজির এক ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরও সঙ্গীত জগতের সাথে যুক্ত। ৯২ বছর বয়সে লতাজির প্রয়াণে শোকোস্তব্ধ গোটা দেশ। তাঁর কোকিল কন্ঠ আর শোনা যাবে না, এটা যেন মেনে নিতে পারছে না সংগীত মহল।