রাজ্যে বিগত কিছু বছরে ৩০০ এর বেশি গেরুয়া কর্মীকে খুন হতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের হাতে। বহুবার এই অভিযোগ করেছেন পদ্ম শিবিরের বহু নেতারা। বিরোধী দলগুলি বহুবার অভিযোগ করেছে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এই সমস্ত পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে। তাদের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করার মত পরিস্থিতি চলে এসেছে। সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি এসেছিলেন বাংলা ভ্রমণে। সেখানে তার কনভয়ের ওপর করা হামলায় অভিযোগ হয়ে উঠেছে আরও গুরুতর।
পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। জেপি নড্ডার ওপর করা হামলার ঘটনার পড়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমন অবস্থায় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে তত আইনের শাসনের অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করেছে বিরোধী দলের নেতারা। অন্যদিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শাসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যদি সাহস অথবা ক্ষমতা থাকে তবে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করে দেখাক বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বাংলা সফরে এসে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হবে নাকি সেই বিষয়ে কথা বলতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
এইদিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, রাষ্ট্রপতির শাসন এইভাবে জারি করা সম্ভব না। যখন নির্বাচন একেবারে এগিয়ে এসেছে এমন সময় রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা যাবেনা। স্থিতি খারাপ ঠিকই, আমাদের কাছে প্রতি মাসে রাজ্যপাল রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন। কিন্তু সংবিধানের ধারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমরা ব্যবহার করিনা। ওটা করে কংগ্রেস। আমরা রাজনৈতিক লড়াই করেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে লড়াই করেই অপশাসনের সমাপ্তি ঘটাবো।” ফলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে বাংলায় জারি করা হচ্ছেনা রাষ্ট্রপতির শাসন। কিন্তু বাংলায় গেরুয়া শিবিরের সরকার গঠনের বিষয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী হতে দেখা গিয়েছে এই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকে।
এইদিন গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারীও। অবশেষে অবসান ঘটেছে তাকে নিয়ে তৈরি জল্পনার। এইদিন শুভেন্দু প্রথমে প্রণাম করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তারপর যোগদান করেন বিজেপি শিবিরে।
তার সাথে যোগদান করেছে ১০ জন শুভেন্দু অনুগামী নেতা। এইদিন কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে তুলে নিয়েছেন পদ্ম পতাকা। এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৬ জন নেতাও এইদিন যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। ধস নেমে আসে জোড়াফুল শিবিরে। এইবার দেখার বিষয় তবে কি সত্যিই ভেঙে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস? এমনটাই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মনে।