রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণের বেশ কিছু জায়গায় আপত্তি রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধঙ্কড়ের। রাজ্যের কাছ থেকে বাজেট ভাষণের খসড়া সংক্রান্ত চিঠি পেয়ে নবান্নকে তা জানিয়েও দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে চিঠি লিখে নবান্নকে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, বাজেট ভাষণের যে খসড়া তাঁকে পাঠানো হয়েছে তা তিনি পড়তে পারবেন না। কারণ, হিসেবে তিনি জানান, বক্তব্যের বেশ কিছু অংশের সঙ্গে তিনি সহমত নন। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় সংশোধনের পরামর্শও দেন তিনি। কিন্তু রাজ্য তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। বিকেলে রাজ্যপালের চিঠির উত্তরে নবান্ন থেকে জানানো হয়, বাজেট ভাষণের বদল করবে না রাজ্য।
এরফলে বাজেট ভাষণের প্রাক্কালে আবারও রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরী হয়। একদিকে, রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণ পড়তে নারাজ রাজ্যপাল। অন্যদিকে, ভাষণের বয়ান একই রাখার ব্যাপারে অনড় রাজ্য প্রশাসন। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণ পাঠ করতে বাধ্য রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন : লড়াই শুরু, পুরভোট জিততে বাংলায় বিজেপির ভরসা মুকুল-ই
সেক্ষেত্রে তিনি আলাদা করে নিজের মত ব্যক্ত করতেই পারেন। সেই মত অবশ্য বিধানসভার বিবরণীতে লিপিবদ্ধ থাকবে কিনা সেটা ঠিক করবেন অধ্যক্ষ। শুক্রবার, দুপুর ২ নাগাদ শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। প্রথা মেনে রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমেই সেই অধিবেশন শুরু হবে। রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের আবহে রাজ্যপাল ঠিক কী ভূমিকা নেন, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন বঙ্গ রাজনীতির কারবারিরা।