গত বছরের মার্চ মাস থেকে করোনা প্যানডেমিক বিশ্ববাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। চলতি বছরের শুরুতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও মার্চ মাসের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ গ্রাফের গগনচুম্বী রূপ রীতিমতো উদ্বেগে ফেলছে দেশবাসীকে। মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে দৈনন্দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। শেষ কয়েক দিনে দেশজুড়ে দৈনন্দিন সংক্রমণের সংখ্যা ১ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এই মুহূর্তে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে সপ্তাহান্তে লকডাউন এবং কড়াকড়ি নাইট কার্ফু এর ব্যবস্থা করেছে। আসলে দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ থেকে বাঁচতে চাইছে। এরইমধ্যে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানেই তিনি টিকাকরণের দ্রুততা আনার ওপর জোর দিয়েছেন।
তবে লকডাউন হতে পারে এই আশঙ্কায় ফের পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজ রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছে। এখন সবার মাথাতেই মাথাচাড়া দিয়ে একটাই প্রশ্ন উঠছে যে আবার কি দেশ গত বছরের মতো একটি টানা লকডাউন দেখতে চলেছে? লকডাউন হলে ট্রেন বাস চলবে তো? এই প্রশ্নে উত্তাল গোটা দেশ। এমনকি ট্রেন বন্ধ হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ইতিমধ্যেই ভিড় করে বাড়ি ফেরার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীল শর্মা আশ্বস্ত করে বলেছেন, “ট্রেন পরিষেবা বন্ধ বা কাটছাঁট করার এখন কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি।” তিনি আরো বলেছেন, “যাই পরিস্থিতি আসুক না কেন প্রয়োজন মাফিক ট্রেন পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রেল। যখন যেমন চাহিদা তখন তেমন পরিষেবা দেওয়া হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা নিয়ে আতঙ্কিত হতে হবে না।”
এছাড়াও সম্প্রতি গুজব উঠেছিল যে ট্রেনে চড়তে গেলে এবার কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। সেই গুজবে জল ঢেলেছেন সুনিল শর্মা। স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, “ট্রেনে চড়তে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে না। যারা যাত্রা করতে চান তাদের জন্য ট্রেনের অভাব নেই।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের চলতি সপ্তাহে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে করোনা সংক্রমনের গগনচুম্বী গ্রাফ। একদিনে দেশজুড়ে সংক্রমিত হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার মানুষ। গোটা দেশে বর্তমানে অ্যাক্টিভ করোনা কেস ১০ লাখ। নতুন করে মারা গিয়েছে ৮০২ জন।