কালীপুজোতে পশ্চিমবঙ্গের বুকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর দাপটের আশঙ্কা থাকলেও তেমন বড়সড় কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। অনেক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলেও তেমন কিছুই হয়নি। আসলে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার দাপট তুলনামূলক অনেকটাই কম ছিল। তবে কালীপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই বাঙালির ঘরে ঘরে পাখা কমানোর প্রবণতা শুরু হয়েছে। আসলে হালকা শীতের আভা মনোরম করে তুলেছে পরিবেশকে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও বেলা বাড়লে তা আবার ৩০-৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছে যাবে। কবে পড়বে শীত? কি বলছে হাওয়া অফিস? জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর অনুযায়ী আগামী পাঁচদিন রাজ্যের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে আগামী রবিবার পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য তাপমাত্রা ৪-৬ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রার তেমন হেরফের হবে না। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের ৫ টি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বিক্ষিপ্তভাবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে বুধবার প্রাথমিকভাবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং শহরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আকাশ মেঘলা থাকবে জায়গায় জায়গায়। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। কিন্তু তার পরবর্তী ৪ দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
তবে সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন যে পশ্চিমবঙ্গে শীত কখন আসবে? এই প্রসঙ্গে হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে কালীপুজোর সময় তাপমাত্রা যা কমেছিল তা শুধুমাত্র ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। এরপর আবার পারদ চড়বে। আপাতত বাংলায় শীতের আগমন হয়নি। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের আগে দক্ষিণবঙ্গে শীত আসার সম্ভাবনা নেই।