অফবিট

২০৫০ এর মধ্যে সামুদ্রিক প্রাণীরা ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু কি ভাবে? সেটাই জানালো গবেষকরা

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – এখন আমরা প্রত্যেকেই করোনা ভাইরাস এর আক্রমন নিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে রয়েছি। তাই অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছি না। তবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা হল দূষণ, এই করোনা ভাইরাসের জন্য কার্যত সকলে যখনই গৃহবন্দী, তাই বিশ্বের দূষণের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। যা কমেনি তা হলো বিশ্ব উষ্ণায়ন অর্থাৎ গ্লোবাল ওয়ার্মিং। তবে আগে যা দূষণ হয়েছে তা তো হয়েই গেছে এক মাসে হয়তো তার পরিমাণ খানিকটা কমেছে, কিন্তু আগের দূষণ গুলো তো থেকেই গেছে।

নদী সমুদ্র একেবারে প্লাস্টিকের স্তুপে পরিণত হয়েছে, তাছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়ন সামুদ্রিক প্রবাল এর জীবনযাত্রাকে একেবারেই ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে। তাদের বেঁচে থাকাটাই দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তবে গবেষকরা বলেছেন আমরা যদি চেষ্টা করি, আমরা সামুদ্রিক জীবনকে আবার তার আগের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারি। না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে সামুদ্রিক জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।

গবেষকরা বলেছেন, নয়টি জিনিস, পুনরায় তৈরি করতে পারলেই সামুদ্রিক জীবন বেঁচে যাবে। সেগুলি হল ম্যানগ্রোভ, প্রবাল প্রাচীর, মৎস্য চাষ, সামুদ্রিক ঘাস ইত্যাদি। এছাড়াও আমাদের নিজেদের কেউ অনেকটা চেষ্টা করতে হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহার একটু একটু কমে করে কমাতে হবে। যা হয়ে গেছে তাকে একদিনে শেষ করে ফেলা সম্ভব নয়, কারণ পুরো পৃথিবীটাই প্লাস্টিকে ভরে গেছে, বায়ু দূষণ, জল দূষণ, শব্দ দূষণের পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রতিদিনের জীবন থেকে আমাদের একটু একটু করে প্লাস্টিক বাদ দিয়ে প্লাস্টিক কে কমাতে হবে।

সামুদ্রিক জীবন যে প্লাস্টিক নিয়ে কতটা বিপর্যস্ত তার ছবি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পাই। কখনো তিমি মাছের পেট থেকে বেরোচ্ছে অজস্র প্লাস্টিকের পদার্থ, কখনো-বা বোতলের ছিপি আটকে গেছে কোন পাখির মুখে, সে ছটফট করছে। কিংবা মাছ ধরার জাল আটকে রয়েছে কোন সামুদ্রিক প্রাণীর গায়ে, তৈরি করেছে। এই অবলা প্রাণীগুলোর ছটফট করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। মানুষের চোখে পড়লে মানুষ তখন হয়তো তাদের বাঁচিয়ে দেয়। কিন্তু যারা চোখের আড়ালে থেকে যায় তারা এই ভাবেই মারা যায়। এগুলো আমাদের মনুষ্য সমাজের কাছে লজ্জার। আমাদের কাজকর্মের জন্য এই নিরীহ প্রাণী গুলোকে মরতে হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button