শ্রেয়া চ্যাটার্জি : বাসন্তী থানার পানিখালি গ্রামে ঘটেছে এক অদ্ভুত ঘটনা। শিশুর গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে, কথা ছিল তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কিন্তু সেটা হয়নি, নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওঝার কাছে। তুকতাক করিয়ে তাদের বিশ্বাস জ্বর সেরে যাবে, কিন্তু অবশেষে যখন জ্বর সারেনি, তখন বাধ্য হয়ে তারা চিকিৎসকের কাছে অর্থাৎ হসপিটালে দ্বারস্থ হয়েছেন।
চিকিৎসকের বক্তব্য অনুযায়ী শিশুটি এমনিতেই খিচুনি রোগের আক্রান্ত কিন্তু এই সত্যি কথাটা তার বাড়ির লোকজন কিছুতেই মানতে চাইছে না। শিশুটি এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে তবে চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন শিশুটি কে বাঁচিয়ে তোলার।
বেশ কয়েকদিন আগেও শিশুটির এরকম খিঁচুনি শুরু হলে, তারা তুকতাক করিয়ে এবং ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করে শিশুটিকে সুস্থ করেন। এই ঘটনা তাদের মধ্যে একটা দৃঢ় বিশ্বাসের সৃষ্টি করেছে। সেখান থেকেই তাদের একটা ধারণা হয়েছে যে, ওঝাই তার তুকতাক এর জোরে শিশুটিকে বাঁচিয়ে তুলেছে।
কিন্তু প্রশ্নটা এখানেই যখন বিজ্ঞান চলেছে তার দুরন্ত গতিতে উন্নতির পথে, তখন কেন বিস্তীর্ণ এলাকা এইরকম কুসংস্কারের অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে থাকবে? তবে কি সত্যি সত্যি উপযুক্ত শিক্ষা পৌঁছাচ্ছে না সব জায়গায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন নারীকে শিক্ষিত হয়ে ওঠার। শিক্ষার আলোই একমাত্র পারবে কুসংস্কারের অন্ধকারকে মুছে দিতে।