প্লাস্টিকের প্লেট এর জায়গায় শালপাতার থালা বানিয়ে, অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছে মহিলারা
শ্রেয়া চ্যাটার্জী : কেওনঝড়ের জেলাশাসক আশিস থাকারে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য তিনি একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি মনে করছেন এটা একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সময় যে সময় দাঁড়িয়ে প্রশাসনিক জায়গা থেকে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুন : শীতের মরশুমে ভারতের এই চারটি জায়গা ঘুরে আসুন
কেওনঝড় বিখ্যাত তার শাল বাগানের জন্য। তাই প্লাস্টিকের থালা, বাটি জায়গায় শালপাতার থালা আনাটা খুব একটা অসুবিধা হবে না, কারণ শালপাতার বাটি, থালা বানাতে গেলে যে প্রয়োজনীয় শালপাতার প্রয়োজন হয়, তা যথেষ্ট পরিমাণে কেওনঝড়ে উৎপন্ন হয়। এই শালপাতা প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে হতেই পারে।
আগেকার দিনে বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে ফুচকাওয়ালার সব জায়গা তেই কিন্তু শালপাতা দিয়েই হতো, কিন্তু এখন প্লাস্টিকের দৌলতে এসব এখন বাতিলের খাতায়। কিন্তু আশিস বাবু চান, এগুলিকে আবার ফিরিয়ে আনতে শালপাতার তৈরি থালা আঞ্চলিক ভাষায় যা ‘খালি’ নামে পরিচিত। স্বাভাবিকভাবে শুকিয়ে যাওয়া পাতার গন্ধ এবং মাটির ভাঁড় এর মাটির গন্ধের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া তো মন্দ হবে না।
আরও পড়ুন : প্লাস্টিক এড়িয়ে যান, তৈরি হল বাঁশের বোতল
প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি এখন শহরতলি থেকে গ্রামেতে ও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ এটির বেশ অল্প দাম এবং বানানো সহজ এবং সহজে পরিবহন যোগ্য। কিন্তু প্লাস্টিকের জায়গায় শালপাতার তৈরি থালা, বাটি বানালে সেখানকার মহিলারা অনেক উপকৃত হবে। আর এখানে যেহেতু সহজেই শালগাছের বন তৈরি হয়েছে, তাই আলাদা করে উপাদান আনার জন্য কোন খরচ লাগবে না। প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত উপাদান দিয়ে তৈরি থালা, বাটি তৈরি করে তা বিক্রি করে এখানকার মহিলারা বেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পেরেছেন এবং প্রশাসনিক ভাবে এই মহিলাদেরকে ট্রেনিং এর মাধ্যমে তাদেরকে সাহায্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে।