বিহারঃ ইতিমধ্যেই হাথরস ধর্ষণ কান্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সারা ভারত। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কার্যত গ্রেফতার হয়েছেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর এবার হাথরসের পথে তৃণমূলের সাংসদের দলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। দফায় দফায় সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে আজ সকালেই হাথরসে আটকানো হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে।
সব মিলিয়ে সারা দেশে যখন এই নিয়ে তোলপাড়, তখন আরো একবার ধর্ষণের শিকার হলেন আরেক তরুনী। শুক্রবার বিহারের গয়া জেলায় চারজন মিলে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরেই ওই তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। অভিযুক্তদের তিনজনের নাম রাহুল কুমার, চিন্টু কুমার, চন্দন কুমার। চতুর্থ জনের পরিচয় জানতে পাওয়া যায়নি।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাতরসে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনার সপ্তাহ দুই পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই এ দিন ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷
অন্য দিকে হাথরসের দলিত তরুণীকে মধ্যরাতে দাহ করার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর নাম। এরপরে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন একাধিক বিরোধি দলের নেতা। কিন্তু সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ততোই জটিল হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আর তার মাঝেই আবার ঘটে গেলো এরকম ঘটনা, ধর্ষিতার দেহ ময়নাতন্দন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে গয়া মেডিক্যাল কলেজে। এখনও ময়নাতদন্তের ফল আসেনি। পুলিশি বয়ান অনুযায়ী হাতরাসের ঘটনার সঙ্গে এই ধর্ষণের বেশ কয়েক জায়গায় মিল রয়েছে, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।