বর্তমানে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল মিতালি রাজের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ খেলতে ব্যস্ত রয়েছে। সেই বিশ্বকাপের আসরে গৌরবের রেকর্ড এবং লজ্জার রেকর্ড করল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। দু’দিনের ব্যবধানে আকাশ-পাতাল উত্থান-পতন দেখা গেল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতীয় দল নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছিল। ৩১৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে হেসে খেলে ম্যাচ জিতে গিয়েছিল ঝুলন গোস্বামীরা। সেই দল নিয়ে পরের ম্যাচেই লজ্জার রেকর্ড গড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। মাত্র ১৩৪ রানে অলআউট হল ভারত।
এদিন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মাত্র ৩৬.২ ওভার খেলে ১৩৪ রান করতে সক্ষম হয় টিম ইন্ডিয়া। ২০০৯ বিশ্বকাপের পর এত কম রান ভারত কখনও করেনি। ২০০৯ সালে সিডনিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ৫০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৭ রান করেছিল টিম ইন্ডিয়া। আর এ বার তো সেই লজ্জার রেকর্ড ভেঙে ১৩৪ রানেই অল আউট হয়ে গেল ভারত। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এরপর ভারতীয় ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামী বলেন, ভারতের ব্যাটিং পতনের কোন সমাধান নেই। আমরা শুধু সমাধান করার চেষ্টা করি। কখনো ভারতের ওপেনিং জুটি জ্বলে ওঠে আবার কখনো মিডিল অর্ডার। যদি ব্যর্থ হয় সে ক্ষেত্রে কেউই দাঁড়াতে পারে না ক্রিজে। তবে আমরা কিছু না পারলেও এটির সমাধান করার চেষ্টা করতে পারি।
আজ টসে জিতে ভারতকে এ দিন প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ভারতের মেয়েরা। ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার। ১৮, ২৫, ২৮, ৬১ রানে পরপর ২ উইকেট- যেন একটি ঝড় পুরো ভারতকেই উড়িয়ে নিয়ে যায়। এত বিফলতার মাঝে স্মৃতি মান্ধানার ৩৫ এবং রিচা ঘোষের ৩৩ ভারতকে ১০০ রানের গণ্ডি টপকাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ঝুলন গোস্বামী ২০, হরমনপ্রীত কাউরের ১৪- তাও দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছে। বাকি কোন ভারতীয় ক্রিকেটার তো দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছতে পারেননি। এর পর মাত্র ১৩৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে হেসেখেলে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।