টেট এবং এসএসসি তে উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ অধরা। সেই কারণে রাজ্যের প্রথমিক এবং উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির প্রার্থীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। শীঘ্রই নিয়োগের দাবি তুলে বিক্ষিপ্ত আন্দোলনে নেমেছেন তারা। এমন অবস্থায় রবিবার তাদের জন্য কড়া বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের অন্যতম নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এইদিন তৃণমূল ভবনে হওয়া সাংবাধিক বৈঠকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,”এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের হাইকোর্টের নিয়ম অনুসারে নিয়োগ করা হবে। সেই কারণে শিক্ষা দপ্তর এবং বোর্ড হাই কোর্টের নিয়ম মেনে কাজ করছে। তাই বিক্ষোভ দেখালেও কিছু করা যাবেনা।”
এইদিন তিনি জানান,আগামী ৩ রা ফেব্রুয়ারির মাঝে রাজ্যের স্কুলগুলিতে সাঁওতালি ভাষার ৪৭৫ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে। ৩১ জানুয়ারি টেট নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এইদিন জানিয়েছেন, ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য এই দিন রাজ্যের ২২ টি কেন্দ্রে নেওয়া হবে অফলাইন পরীক্ষা। পরীক্ষায় বসতে চলেছেন আড়াই লাখ আবেদনকারী। পরীক্ষা শুরু হবে ১ টা থেকে এবং চলবে সাড়ে ৩ টে অবধি। এইদিনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য থাকছে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা। তাই অনেক আগে থেকে নির্দিষ্ট ২২ টি কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্যানিটাইজেশনের সাথে একাধিক যাবতীয় পরিচ্ছন্নতার বন্দোবস্ত করতে পারে।
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া তো এগিয়ে চলেছে। কিন্তু রাজ্যে কবে থেকে স্কুল খুলবে? ক্লাসরুমে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে পড়ুয়ারা? এ বিষয়ে রবিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee)জানান, “সব স্কুল স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। আগে যেসব স্কুল খোলা হয়েছিল, সেগুলো বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে পঠনপাঠন চালানো হচ্ছে এখনও। পরিস্থিতি অনুকূল হলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” ফলে স্কুল খোলা নিয়ে এখনও কোনও আভাস পাওয়া গেল না শিক্ষামন্ত্রীর কথায়।