পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। আর তাই ‘বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প’ যেভাবে উদ্যোগ নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন থেকে উত্তর কোরিয়ার কোটি কোটি মানুষের পেট ভরিয়েছে। আর তাই এই ‘বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প’-কে নোবেল শান্তি পুরস্কার জন্য মনোনীত করল নোবেল কমিটি।
নোবেল কমিটির চেয়ারওম্যান বেরিট রেইস অ্যান্ডারসন বলেন, ‘যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে খিদেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সে জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে ‘বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প’। খিদের জ্বালায় মরছে কোটি কোটি অভূক্ত মানুষ। সে দিকে যাতে গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য চলতি বছর ‘বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প’-কে বেছে নিল নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।’
১৯৬১ সালে গঠিত হয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের শাখা সংস্থা ‘বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প’। উট, হাতি বা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অভূক্তদের কাছে অন্ন পৌঁছে দেওয়া ছিল এদের প্রধান লক্ষ্য। গতবছর ৮৮টি দেশের ৯.৭ কোটি মানুষকে ১৫০ কোটি রেশন দেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে ক্ষুধা দূরীকরণের লক্ষ্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের। আর তাতে নিজের দায়িত্ব একইভাবে পালন করে চলেছে ‘বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প’-এর আধিকারিকরা। আর সে কথা মাথায় রেখেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য এই ‘বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প’-কে মনোনীত করা হয়েছে।