শ্রেয়া চ্যাটার্জি- ভগবান শিবের বরেই জন্ম হয়েছিল হনুমানের। হিন্দু পুরাণ মতে এমনটাই জানা যায়। হনুমানের মা অঞ্জনা ছিলেন শিবের পরম ভক্ত। তার পূজায় সন্তুষ্টিতে শিব বীর সন্তানের জননীর প্রদান করেছিলেন অঞ্জনাকে। হিন্দু দেব দেবীর তালিকায় হনুমান নিজের জায়গা ঠিক করে নিয়েছেন। রামায়ণের মূল চরিত্র হলেন রাম। রাম কে হিন্দুরা ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে পুজো করেন। এই রামের পরম ভক্ত ছিলেন হনুমান।
হিন্দুরা হনুমানজির পুজো করলে তাদের জীবনের সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। বজরঙ্গবলির পছন্দের খাবার তালিকায় রয়েছে লাড্ডু, কলা, ক্ষীর। তাকে পূজো করতে গেলে মেটের সিঁদুর দিয়ে পুজো করতে হয়। শুদ্ধমনে, শুদ্ধ বস্ত্রে, লাল ফুল অর্পণ করে হনুমানজির পুজো করতে হয়। পুজো শেষ হলে অবশ্যই হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে হয়। যারা হনুমানজীর পূজা করবেন তারা প্রতি মঙ্গলবার নিরামিষ আহার করতে পারলে ভালো হয়। তবে এতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
মঙ্গলবার এর জন্য লাল রং অত্যন্ত শুভ, এমনটাই মনে করা হয়। প্রতি মঙ্গলবার যদি এইভাবে হনুমানজির পুজো করেন তাহলে হনুমানজি আপনার প্রতি প্রসন্ন হবে। সমস্ত সংকট থেকে কাটিয়ে উঠতে পারবেন। জীবনে চলার পথে মানুষের কত বাধা বিপত্তি না আসে, তখন মানুষকে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হতে হয়। আর এইভাবে এক মনে যদি ঈশ্বরের সাধনা করা যায়, ঈশ্বর তার ভক্তের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন না।