চিন: ভারতের মদতেই নাকি তিব্বতিরা চিনের বিরোধিতা করছে, এমনটাই মত চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর। এর আগেও বহুবার চিন এবং তিব্বতের শত্রুতার বিষয়টি জনসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন জিনপিং। তার মতে তিব্বতিদের মনে চিনের প্রতি খারাপ ধারনা ঢুকানোর মূলে আছে ভারত। তাই তিব্বতকে জব্দ করতে শিক্ষা ও রাজনৈতিক পাঠে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিনপিং। তিব্বতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এবার নির্দিষ্ট কিছু পরামর্শও দিয়েছেন জিনপিং।
শনিবারের বৈঠকে জিনপিং জানান এবার তিব্বতকে শিক্ষা দেবে বেজিং। এছাড়াও তিব্বতের যুবসমাজকে বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী পাঠ পড়ানোর কথা ভাবছে তারা। পড়াশোনার মাধ্যমে স্কুল ও কলেজের বই, খাতার মাধ্যমে তিব্বতে চিনা কমিউনিষ্ট পার্টির ভিত শক্ত করতেই এই নতুন রাস্তা বেছে নিয়েছে জিনপিং।
এখানেই শেষ নয়, স্কুলের বই খাতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিষয় এবং সর্বশেষে তিব্বতকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করার জন্য যা যা করা দরকার ঠিক তাই তাই করবেন বলে জানিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এবার আসা যাক, চিন এবং তিব্বতের লড়াইয়ের ইতিহাসে। ১৯০৯ সালে মঞ্চু সম্রাটের তিব্বত দখলের পর সে সময়ের দলাই লামা ভারতে আশ্রয় নেন। পরে অবশ্য তিনি দেশে ফিরে যান। এরপরেই তিনি তিব্বতকে চিনা আগ্রাসন থেকে মুক্ত করে ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ ঘোষণা করেন। আর সেদিন থেকেই চিন এবং তিব্বতের মধ্যে একপ্রকার খণ্ড যুদ্ধ শুরু হয় যায়। যার রেশ এখনো পর্যন্ত অব্যাহতই রয়ে গেছে। আর সেই বিষয়কে উস্কানি দিয়ে আরো একবার চিনকে জব্দ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চিন।